বড়লেখার যুবকদের সেচ্ছায় শ্রমে রাস্তার জমে থাকা পানি অপসারণ অতঃপর চলাচলে উপযোগী
মোঃইবাদুর রহমান জাকির শনিবার সকাল ১০:৫০, ১৫ অক্টোবর, ২০২২
যুবকদের সেচ্ছায় শ্রমদানে রাস্তা ফিরে পেলো প্রাণ
আফজাল হোসেন রুমেল, বড়লেখা প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ১০ নং দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের দোয়ালিয়া গ্রামের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে সে বিষয়টি উপলব্ধি করে আল-ইক্বরা ইসলামিক সোসাইটি বৃহত্তর দোহালিয়া’র উদ্যোগে রশিদাবাদ চা-বাগান ভায়া ত্রিমুখী থেকে ছালেহ আহমদ সাহেবের বাড়ী পর্যন্ত কাঁদাযুক্ত পানি সাময়িক ভাবে বালি ও রাস্তায় ড্রেইন কেটে অপসারণ করা হয়।
শুক্রবার সকালে সারজমিনে দেখা যায়, এলাকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি এমরান আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান ছিদ্দিক, সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক এম. সাইফুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফোরকান আহমদ, অর্থ সম্পাদক রেজাউল করিম, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন রুমেল ও সদস্য পাবেল আহমদ, আশিক আহমদ, মাহিন আহমদ, নাইম আহমদ প্রমূখ।
১৫-২০ জন সদস্য মিলে রাস্তা মেরামতের কাজ করছে। রাস্তা থেকে কাঁদাযুক্ত পানি ও মাটি সরিয়ে দিয়ে ও গাছপালা পরিষ্কার করে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছে তারা।
জানা গেছে, এ বছরে অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে সড়কটি ভেঙে য়ায় কোথাও আবার কোথায় রাস্তায় পানি জমে যায়। এমন পরিস্থিতিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে দোহালিয়া এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পুষাতে হচ্ছে। আমরা সংগঠনের উদ্যোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ বারের মতো উক্ত জায়গাটি সাময়িক যাতায়াতে উপযুক্ত করলেও স্থায়ী যাতায়াতের প্রশ্নে এটি যথেষ্ট নয়। কাজেই মানুষের দুঃখের বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত জায়গাটি ড্রেনেজ ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থায়ী সংস্কার করতে উক্ত ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মহলের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
স্থানীয়রা জানান, ১০ নং দক্ষিণভাগ ইউনিয়ন দোয়ালিয়া – রশিদাবাদ- চা বাগান এলাকার মানুষের এক মাত্র রাস্তা। প্রতিদিন রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল যাতায়াত করত। কিন্তু রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিগ্ন ঘটে। স্বেচ্ছায় শ্রমে সড়কটি মেরামত হওয়ায় সাময়িকভাবে চলাচল স্বাভাবিক হবে। তবে সরকারি উদ্যোগে ড্রেনেজ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় জামে মসজিদের মুসল্লিরা জানান, রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ায় কারণে মুসল্লিরা মসজিদে যেতে দুর্ভোগে পড়েন। সকাল বেলা মক্তবে যেতে অসুবিধা হয় শিশুদের।
স্থানীয় রিকশাচালক জানান, সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর থেকে ওই সড়ক দিয়ে রিকশা চালানো সম্ভব হয়নি। এতে করে তাদের আয় রোজগার কমে গেছে।
দক্ষিণভাগ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে মেরামত না হওয়ায় বাজারে মানুষের যাতায়াত কমে গেছে। যে কারণে তারা ব্যবসায় কিছুটা লোকসানের মুখে পড়তে হয়েছে। এখন রাস্তা মেরামতের কারণে ব্যবসায়ে গতি আসবে।