সাঘাটায় ক্রস বাধ ভেঙ্গে বিলিন ২ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি
আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা রবিবার রাত ০১:৫৬, ২৬ জুন, ২০২২
রাতের আধারে কোন কিছু বোঝার আগেই যমুনা নদীর ক্রস বাধে বিলিন হয়ে যায় প্রায় ২ শতাধিক পরিবারের ঘর বাড়ী। ভাঙ্গন ঠেকাতে রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত রাখে।
জানা গেছে, গাইবান্ধার সাঘাটার উপজেলার মুন্সিরহাটে মূল বাধের পূর্ব অংশে একটি ক্রসবাধ রয়েছে। সেই বাধে গত শুক্রবার রাতে প্রবল স্রোতের চাপে প্রায় ২মিটার বাধ ভেঙ্গে যায়। এতে করে বাধের পাশের প্রায় ২শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ী মূহুর্তে যমুনা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়।
ভাঙ্গন ঠেকাতে সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানালে তারা দ্রুত এসে বাধের ভাঙ্গন ঠেকানোর জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু করেন। রাত যতই গভীর হয় ততই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, এলাকাবাসী, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন রোধে আপ্রান চেষ্টা করে।
ওই বাধের ভাঙ্গনে ঘরবাড়ী বিলিন হয়ে যাওয়া বাবলু ও জাহিদুল বলেন, কোন কিছু বোঝার আগেই তীব্র স্রোতে ক্রসবাধটিতে ভাঙ্গন শুরু হলে মূর্হুতের মধ্যে আমাদের ঘরবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এছাড়াও চান্দু, বাবু, জহুরুল, ছকিনা, পাশান সহ বাধের আসে পাশের প্রায় ২শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ী বিলিন হয়ে যায়।
অপর দিকে বাধের দক্ষিণ অংশে বসবাসকারি রুবি ও রুমি বাধে ভাঙ্গনের আতংকে নির্ঘুম রাত কাটান। তারা বলেন, ভাঙ্গনের এ অবস্থা দেখে ছেলে মেয়েকে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঘরবাড়ী সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, এ ভাঙ্গন যদি ঠেকানো না যায় মুন্সিরহাটে স্থাপিত স্কুল, মাদ্রাসাসহ আসেপাশের অনেক ঘরবাড়ী বিলিন হয়ে যাবে। এছাড়াও সাঘাটা থানা সহ বাজার এলাকা হুমকির মুখে পড়বে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ক্রসবাধটির ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য ডাম্পিং সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।