নিজস্ব প্রতিনিধি শনিবার রাত ০১:৪২, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আজ শনিবার সারা দেশে এক কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা স্থানীয় লোকজনকে উৎসাহিত করতে প্রচারও চালাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ও জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্য শামসুল হক এসব তথ্য জানান।
গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, টিকা নেওয়ার আগ্রহ বজায় থাকলে দ্রুত লক্ষ্যপূরণে পৌঁছাতে পারব। শনিবার টিকার ডোজ দেওয়ার ব্যাপক আয়োজন থাকছে। দেশজুড়ে ২৮ হাজার কেন্দ্রে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। আশা করছি, ওই দিন পর্যন্ত দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট পূরণ হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এক দিনে এক কোটি করোনার টিকাদান কার্যক্রম। পরে দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ প্রদান কার্যক্রমও জোরদার করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচির পরিচালক মো. শামসুল হক বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এদিন পর থেকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরপর দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ চলবে।
যাদের জন্মনিবন্ধন ও পাসপোর্ট নেই, তারা ২৬ ফেব্রুয়ারির আগে সরাসরি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন বলে জানান তিনি। মো. শামসুল হক বলেন, গণটিকাদানের জন্য প্রতিটি ইউনিয়নে তিনটি কেন্দ্র স্থাপন হবে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এসব স্থান নির্ধারণ করবেন এবং সেগুলো স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে পারে। পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে তিনটি করে দল। নির্ধারিত কেন্দ্রের বাইরেও প্রতি উপজেলায় পাঁচটি, প্রতি জেলায় ২০টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৩০টি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি জোনে ৪০টি, বরিশাল, সিলেট, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে প্রতিটি জোনে ৬০টি করে এবং খুলনা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুরের প্রতিটি জোনে অতিরিক্ত ২৫টি করে ভ্রাম্যমাণ দল থাকবে।