উলিপুরের তিস্তার ভাঙনে বিলীন বাঁধ সংস্কার ও নদীশাসনের দাবীতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার বিকেল ০৪:৫৩, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১
কুড়িগ্রামের উলিপুরের তিস্তার ভাঙণে বিলীন বাঁধ সংস্কার ও নদীশাসনের দাবীতে মানববন্ধন করেছে ভাঙন কবলিতরা। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সাতালস্কর প্রাইমারী স্কুলের পাশে দীর্ঘ সময় ধরে মানববন্ধনে নারী-শিশুসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাইম সরকার, ইউপি সদস্য আবু তালেব মোল্লা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, শিক্ষক মাহতাব হোসেন, বিমল কুমার প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাধঁটি গেল বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করার পরও ব্যবস্থা নেয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ড। এবার বৃষ্টি শুরু হলে ওই এলাকায় ভাঙন বেড়ে যাবে। এছাড়া বাঁধ না থাকায় অল্প পানিতেই এলাকায় বন্যা সৃষ্ট হবে। তাই দ্রুত বাঁধ ও নদী শাসনের আবেদন জানান মানববন্ধকারীরা।
ইউপি সদস্য আবু তালেব মোল্লা বলেন, জাপান-বাংলাদেশের অর্থায়নে গত বছর সাদুয়া দামারহাট হতে বগলাকুড়া-সাতালস্কর হয়ে পশ্চিম বজরা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে এলজিইডি। বাঁধটি নির্মাণ শেষ হতে না হতেই তিস্তায় বিলীন হয়ে যায় বেশির ভাগ অংশ। এরপর ভাঙণের তীব্রতা বেড়ে যায় ওই এলাকায়।
এলাকার শিক্ষক মাহতাব হোসেন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে যদি বাঁধ সংস্কার করা না হয়, তাহলে আগামী বর্ষায় এলাকার মানুষ বন্যার দূর্ভোগে পড়বে। একই সাথে ভাঙণ বাড়বে।
স্থানীয়রা বলেন, বাঁধটি সংস্কারের আবেদন নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ছোটাছুটি করেও কোন লাভ হয়নি।
সাতালস্কর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গেল বন্যার পর বিদ্যালয় ভবন তিস্তায় ভেঙে গেলে এখানে(সাতালস্কর) এনে নির্মাণ করা হয়। বর্ষার শেষে তার অর্ধেকটা নদীতে চলে গেছে। নদীর কিনারে দুইটা কক্ষে বর্তমানে কোনরকমে পাঠদান চলছে। তিনটা কক্ষ নদীতে পড়ে গেছে। এ মৌসুমে বাঁধ সংস্কার বা নদী শাসন না হলে, এটিসহ আরও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরসহ হাজার হাজার হেক্টর আবাদি জমি তিস্তায় বিলীন হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে। সেটি শেষ হলে প্রকল্প দ্রুত হাতে নেয়া হবে।