অক্ষয়ী অভাব : কবি তোফায়েল আহমেদ
আরিফুল ইসলাম রবিবার রাত ১০:৪২, ১৪ জুলাই, ২০১৯
অভাব অনেক শক্তিশালী জোড় করে মানবের যাপনে
প্রবেশ করে জীবনকে ফেলে বিপদে,
একের পর এক আসে জীবন নিয়ে তামাশায় অশান্তি
বাড়ায়,পদে পদে জীবন পড়ে আপদে।
রকমারী অভাবে জীবন মন ইচ্ছা সংসার পরিবার ও
স্বজন তছনছ করে ঝগড়া মালিন্য বাড়ায়,
অভাবের অভাব নেই সুখ নিখোঁজ কত পরিবার পথে বসে,তার অত্যাচারে ভালোবাসার মানুষ হারায়।
অব্যয়ী অক্ষয়ী অভাব প্রতিদিন ডেকে -ডেকে বলে
জীবনকে, পারলে আমাকে তাড়াও,
চাতক মরুভূমির ন্যায় তৃষ্ণায় জীবনকে বিষাক্ত করা আমার কাজ। ক্ষমতা থাকলে হারাও।
জীবন রঙ্গীন পাশা খেলতে পারেনা বলেইতো তার
সদা অভাব থাকে,
বাস্তবতা ভিন্ন বড় কঠিন ভবের বিচিত্র্যের আঙ্গীনায়
সুখবিনা মানায়না জীবনকে।
এক অভাব ডেকে আনে তার কত আত্মীয় স্বজন
নামক জাতীয় অভাবকে,
দুঃখের উপর দুঃখের নৃত্য করে, বুকের পাটা ভেঙ্গে
দেখায়, তার শক্তিকে।
অভাব একটা দানবের নাম, প্রতিদিন সে জীবনেকে
ছোবল মেরে তাজা রক্ত ঝরায়,
বিনিময়গুলো অপেক্ষায় থাকে কখন অভাব দূরে
যাবে,সুখের কোমল নাড়ায়।
চারিদিকে বিলাসী সুখের পায়রা ডাকে রঙ্গীনে মচ্
মচে্ করে পথ চলায় দেখা যায়,
তাকে ধরতে গেলে কাছে আসেনা ফুরুতে উড়ে যায়
ধোঁকা মনে ফাঁকি দিয়ে হারায়।
অভাবের বসত বাড়ি জীবনে গড়ে যায় দু -হাতে সুখ তাড়ায়, তার ঘরে সুখকে ডুকতে দেয়না,
নতুন নতুন অচেনা অভাব এসে দল বেঁধে হানা দেয় সময় অসময়ে জীবনের নির্যাসে,জীবন রোদনায়।
মানুষ দৃষ্টির বৃষ্টিতে বুক ভাসায় অভাবের যন্ত্রনায়
পথিক তার পথ হারায়,
দ্বারে দ্বারে ভিক্ষুক ভিক্ষা করে আহাজারিতে অভাবের
কারণে করুনার হাত বাড়ায়।
মোহ লোভ স্বার্থের পেছনে ঘুরলে অভাব থাকে না,সুখ উদিত হয় সাময়িক জীবনের মূল্যবোধের ধাপে,
তবে মলিন হয় মনুষত্ব্যের শ্রেষ্টত্বের অহমিকাগুলো সব
নিদারুন আশাতীত তিক্ততার পাপে।
রিজিকের মালিক আল্লাহ তায়ালা সর্বদা আছেন তিনি
বলেছেন তার প্রিয় সৃষ্টিকে,
অভাব আসুক,যা ইচ্ছা তাই করুক,চিন্তার দরকার নেই আমি খাওয়াই,খাওয়াবো সব সৃষ্টিকে।