চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন,নেতাদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোমবার সন্ধ্যা ০৬:১৮, ৪ অক্টোবর, ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনকে ঘিরে চলছে নানা রকম গুঞ্জণ। কে হবেন সভাপতি আর কেইবা হবেন সাধারণ সম্পাদক। তবে যে বা যারাই এই পদ দুটোর জন্য নিজ নিজ প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন তাদের প্রত্যেকের জন্য এই প্রথম একটি পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হতে হচ্ছে। আর তা হচ্ছে ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষা। কেননা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে হলে মাদক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে একটি নির্দেশনা দিয়েছেন সংগঠনটি। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবারই প্রথম দলের নেতা হতে গেলে ডোপ টেস্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জেলার শীর্ষ নেতাকর্মীরা।
এদিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এমন নির্দেশনার পরপরই শুক্রবার (১অক্টোবর) জেলার অনেক নেতাই ডোপ টেস্ট করাতে ঢাকায় গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। আর সংগঠনের পক্ষ থেকেই ডোপ টেস্ট করা হয় শনিবার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের জন্য জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের অন্তত ১০ জন নেতা যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী রাজধানী ঢাকার পপুলার হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছিলেন মাদক পরীক্ষার জন্য। যা তাদেরকে ক্লীণ এন্ড ফ্রেশ নেতা হিসেবে গণ্য করবে।
এ বিষয়ে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শহিদুল হুদা অলক স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী বলেন, সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক পদে যারা থাকবেন তারা যদি মাদকমুক্ত না থাকেন তবে সংগঠন সুস্থ থাকতে পারেনা। আর তাই সুস্থ ধারার রাজনৈতিক চর্চা বৃদ্ধিতে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে মাদক মুক্ত থেকে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই উদ্যোগকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আর এক সভাপতি পদপ্রত্যাশী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাইজার রহমান কনক বলেন, ডোপ টেস্টের জন্য নমুনা দিয়েছি। আর এটা একটা ভালো দিক বলেই আমি মনে করি।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ইফতেখারুল ইসলাম সুজন জানান, সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এবার একটা ব্যাতিক্রম সম্মেলন উপহার দিতে চাই সংগঠন। আর তাই এবারের সম্মেলনের একটা বড় বিষয় যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে থাকতে আগ্রহী তাদের ডোপ টেস্ট বা মাদক মুক্ততা পরীক্ষা নিশ্চিত করা। সংগঠনের খরচে ঢাকার একটি ল্যাবে তাদের টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়। গেলো শনিবার ১০ জন তাদের নমুনা দিয়েছেন।
তবে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচঞ্চলতা ফিরে এসেছে এবং এর মাধ্যমে আগামীর জন্য একটি সুন্দর নেতৃত্ব পাবে জেলাবাসী বলে মনে করেন তারা।