তুমি (ছোট গল্প) : কবি -তোফায়েল আহমেদ
আরিফুল ইসলাম বুধবার রাত ১১:৪৫, ১৯ জুন, ২০১৯
তুমি (ছোট গল্প)
“””””‘”
তুমি মানে একটা চঞ্চলতার নাম।
যাকে তাকে তুমি বলা সঠিক নয়।
তুমি একটা অধিকারের নাম।
অধিকার অর্জনে ভালোবাসতে হয় বিশ্বাসী মনোভাবে। তুমি বলার স্বাধীনতা দুজনের আত্তার মিলনের পরান্তে প্রাঞ্জল ভাবেই উদ্ভাসিত হয়।
তুমির রহস্য আপন মহিমাতেই গঠিত হয়।
ইহা একটি বিশাল অনুভূতির নাম।
আপন হিয়ার অন্তর্গত মানুষকে তুমি সম্বোধনে যথার্থ খুশি হয়।
তোমার ভেতরে যে তুমি আছে।
আমার নিভৃতে ও আমি আছে।
যার বহির্প্রকাশ সামাজিক পরিমন্ডলে চলমান।
ব্যক্তির ব্যক্তিত্তের বিনীত চলমান জীবনের ধারাবাহিকতায় প্রস্ফুটিত হয়
প্রতিদিনের মুখবয় হতে।
তুমির সংঙ্গা তোমাতেই মানায়।
শুনলে অন্তর ভরে যায় কানায় কানায়।
তুমি শব্দে অনেকে অপমান বোধ করে।
ইহা সম্পূর্ণ মনের ব্যাপার।
তুমি শব্দের প্রচলন ইংরেজী হতে বঙ্গানুবাদে হয়।
আপনি শব্দটি যথেষ্ঠ শ্রদ্ধাভাজন বলে পন্ডিতরা কয়।
ইংরেজী ভাষায় ইউ ব্যবহার করা হয় কথনে লেখনে।
আপনির আলাদা কোন অস্তিত্ব নেই।
আপনি ও একই অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশেই তুমি আপনির ভেদাভেদ মনমালিন্য
ক্ষেত্র বিশেষে লক্ষ্য করা যায়।
এখানো তুমি ছোটকে বলে
তুমি প্রিয়াকে বলে
তুমি ভালোবাসার সহধর্মিনীকে বলে।
তুমি ছেলে মেয়েকে বলে।
অনেক পরিবারে বাবা মাকে ও তুমি বলতে শুনা যায়।
আধুনিক যুগেতো তুমির প্রচলন বেড়েই চলছে।
তুই শব্দটিতে একটি আলাদা রসায়ন কাজ করে।
আপনি শব্দটি কমে যাচ্ছে।
আপনি এখন তুমির মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে সময়ের
স্রোতে।
ইংরেজীতে তুই আপনির কোন আলাদা অস্তিত্ব নেই
সব ইউ।
ইংরেজী ভাষাকে পৃথিবীতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় ও সারা বিশ্ব ব্যপী ভাষা হওয়াতে এর গুনাবলী মান মর্যাদা সর্বক্ষেত্রে বিশেষ মূল্যবান ভূমিকা রাখে জীবন চলার পথেই নয়, কর্মে লেখনে ও বলনে।
নিজ নিজ ভাষা সবার কাছেই সন্মানিত।
তবে বাস্তবতা ভিন্ন।
পররাষ্ট্র নীতিতে বাংলা চলে না। সেখানে ইংরেজী ভাষাই যোগ্য।যা সবাই বুঝে।
দেশের ভাষা দেশেই চলে বিদেশে নয়। আবার বিদেশী ভাষা নিজ দেশেও চলে সারা বিশ্বে ও চলে।
তবে সেটা একমাত্র ইংরেজী ভাষার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
আমাদের দেশে তুমি শব্দটাকে পছন্দ করে প্রিয় মানুষ ও বন্ধুদেরকে বলতে।
সব বন্ধু নয়।
পুরুষ পুরুষে তুমির ব্যবহারে সমবয়সী
বা ছোটদের মাঝে বেশি প্রচলিত।
তবে মেয়ে বন্ধুর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করে বলতে হয়।
অনেক বন্ধু নির্বিশেষে তুমি শব্দটিই পছন্দ করে ও ব্যবহার করে।
তবে বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে আপনি।
ফেসবুক বয়বহার কারী মেয়ে মানুষের ক্ষেত্রে তুমিই বেশী চলে।
কিছু কিছু মেয়ে মানুষ আছে তাদেরকে আপনি বলতে হয়।
নতুবা তারা মাইন্ড করে।
তুমি, তাদের কাছে একান্ত আপন মানুষকে বুঝায়।
তারা ভাবে তুমি বললে সে বলনকারীর বিশেষ কেহ হয়ে যাবে।
কোনটা ভুল বা শুদ্ধ বা বলা উচিত তাহা তুমি গল্পের পাঠকরাই বলবেন।
তবে তুমি শব্দটির প্রচলন দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।
আপনি শব্দটি হারিয়ে যাচ্ছে সমাজ থেকে।
আমি মনে করি তুমি আমি আপনি তুই যাই বলা হোক
সেটা বয়স সম্পর্ক অনুযায়ী হওয়া উচিত। আলুর মত নয়। যা সব তরকারীর সাথেই চলে।প্রবাদ কথায় বলে চালাইলেই চলে। কেহ বলে মনে মনে মিল থাকলে তুমিতে সমস্যা নেই। সে যেই হোক।তবে সব ক্ষেত্রে শ্রদ্ধা বিনয় ভদ্রতা নম্রতা সংযম স্নেহ ও ভালোবাসায় সন্মোধন ব্যবহৃত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
তুমি শব্দের ব্যবহার গল্প কবিতা সাহিত্যে বই পুস্তকে লেখকরাই বেশি ব্যবহার করেছেন। আপনি তুই শব্দ ও আছে। তবে কম।
তবে আর যাই হোক তুমি শব্দ ব্যবহারের মাঝে একটা প্রাঞ্জলতা অধিকার আপন মানসিকতার স্বাচ্ছন্দবোধ কাজ করে অবারিতভাবে। গল্প কবিতার তুমি আর বাস্তবের তুমি এক নয়। কিছুটা প্রার্থক্য থাকে। আবার কখনো থাকেনা। বাঁধন বন্ধু স্বজন সুজন ভক্ত প্রিয় অান্তরিকতা,ভালোবাসা সোহাগ স্নেহে সম্পর্কে তুমির জয় সংখ্যাগরিষ্টে চলমান।