নিলয়( ছদ্ম নাম) বয়স ২০ কিংবা ২২ বছর। ফার্মেসির সামনে দাঁড়িয়ে নাম বললেন নাইটাস ৩ এমজি আছে? ফার্মেসিতে কর্মরত সেলসম্যান বাক্স থেকে বের ৫টি নাইটাস দিলেন। ব্রোমাজিপাম গ্রুপের বেক্সিমকো কোম্পানির এই ওষুধটি বিএমডিসি কর্তৃক নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও ফার্মিসিতে মিলছে অহরহ। খুব সহজে হাতে উঠছে এসব ভয়ংকর ওষুধ।
আবার জ্বর ঠান্ডা কিংবা হাচিসহ সাধারণ রোগের জন্য নিয়মিত চিকিৎসাও দিচ্ছেন ফার্মাসিস্টরাই। পৌরসভার বিভিন্ন ওলিগলির কিছু কিছু ফার্মেসির সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেই এমন চিত্র দেখা যায়।
মানব দেহের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধও সাধারণ মানুষের চিকিৎসার নামে হাতে তুলে দিচ্ছে কিছু অসাধু ফার্মাসিস্টরা।এসব ফার্মিসিতে দেশীয় অনিবন্ধিত বা নিষিদ্ধ কোম্পানিরসহ বেদেশি নিষিদ্ধ,যৌন উত্তেজক ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রয়েছে বলে গোপনসূ্ত্রে জানা যায়।কিছু কিছু ফার্মেসিতে বিক্রি করছে বিদেশী গুঁড়ো দুধ। এতে যেমন রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছে তেমনি রয়েছে শিশু স্বাস্থ্যের ঝুঁকিও।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম খান বলেন,” বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি,তবে খুব যথাশীঘ্রই এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।“