গৌরীপুরে ডৌহাখলা ইউনিয়নের ভিজিডি’র চালের দুর্নীতির দায় নেবে কে!
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ বুধবার বিকেল ০৫:৩১, ৬ জানুয়ারী, ২০২১
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নে ভিজিডি কর্মসূচির চাল নিয়ে চলছে নানান দুর্নীতি ও টালবাহানা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওজনে কম দেওয়া ও পর্যাপ্ত চাল না থাকার অযুহাত দেখিয়ে চাল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি চাল থাকার কথা থাকলেও সেখানে দেওয়া হচ্ছে ২৪-২৬ কেজি বা তারও চেয়ে কম। কার্ডে দুই মাসের ৬০ কেজির কথা উল্লেখ থাকলেও, এখন নেই পরে দেওয়া হবে বলে একমাসের চাল দিয়ে বিদায় করে দিচ্ছেন চাল বিতরণে দায়িত্বে থাকা ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন, এমনটাই অভিযোগ করেছেন একাধিক ভুক্তভোগী উপকারভোগী।
এ বিষয়ে ডৌহাখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হক সরকার দায় চাপিয়ে দিলেন গৌরীপুর খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার ঘাড়ে! তিনি বলেন, গৌরীপুর খাদ্যগুদাম থেকে কম ওজনের ওইসব বস্তা সরবরাহ করা হয়েছে। গৌরীপুর খাদ্যগুদামের খাদ্যনিয়ন্ত্রক বিপ্লব সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ভিজিডির চালের বস্তায় চাল কম হওয়ার কথা নয়। এ চাল বস্তাবন্দী করেন গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। তিনিই বলতে পারবেন কেন চাল কম হয়েছে? আপনারা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন।’ তবে প্রায় প্রতিটি বস্তায় ছিদ্র বা সেলাই খুলে পুনরায় সেলাই করার চিহ্ন রয়েছে।
পরে চাল কম হওয়ার বিষয়ে গৌরীপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা স্বিদ্ধার্ত শংকর তালুকদার বলেন, চেয়ারম্যান নিজে চাল বুঝে নিয়ে গিয়েছে, কম হবার কোন সুযোগ নেই।
অনলাইন ও প্রিন্টসহ বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ফের মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসান মারুফ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বিপ্লব সরকার, তদারকি কর্মকর্তা আঃ মান্নান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল হক সরকার, গনমাধ্যমকর্মী, এনজিও এলআরবি ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি আঃ ছালাম, ইউপি সদস্যগণের উপস্থিতিতে প্রথম ধাপে পরিমাপযন্ত্রে মেপে ৩০ কেজি ওজনের বস্তা বিতরণ করা হয়। কিন্তু ইউএনও চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অবস্থান করা অবস্থাতেই ২৪/২৬ কেজি ওজনের চালের বস্তা উদ্ধার করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
বিষয়টি তাৎক্ষণিক নির্বাহী অফিসারকে প্রমাণসহ জানালে তিনি কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সঠিক মাপের চালের বস্তা বিতরণের নির্দেশ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসা হাসান মারুফ রাহাত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, চাল বিতরণের বিষয়টি দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মনিটরিং করেন। যথাসময়ে বিতরণ না হওয়া ও ওজনে কম দেয়ার বিষয়টি তারা আমাকে জানাননি। এখন থেকে যথাসময়ে বিধি মোতাবেক চাল বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।