চরম দুর্ভোগে উলিপুর পৌরবাসী,দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের সঙ্গী
সাজাদুল ইসলাম,কুড়িগ্রাম রবিবার সন্ধ্যা ০৭:০৫, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার উৎসমুখ থেকে শুরু করে ১৫ টি মৌজার পাড়া-মহল্লা, গ্রাম ও শহরের প্রায় ৩০ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দের শেষ নাই। প্রতিটি পাড়া-মহল্লা গ্রাম ও শহরের মানুষ-সহ যাত্রীবোঝাই যানবাহন প্রতিদিনই দুর্ঘটানার শিকার হচ্ছে।
১৯৯৮ সালে ২৭.৩৪ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে পৌরসভার জন্ম হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অর্থ বছরে রাস্তা সংস্করণ বাজেট ও টেন্ডারের মাধ্যমে মাত্র দু’একবার রাস্তা মেরামত কাজ হয়েছে। পৌরসভায় মোট পাকা রাস্তা রয়েছে ৬৪ কিলোমিটার যার ১৬.৮৫ কিলোমিটারের কাজ হয়েছে জাইকা প্রকল্পের অর্থায়নে। জাইকার কাজ করা রাস্তাগুলোও কোথাও কোথাও খানাখন্দ হয়ে গেছে। কাঁচা রাস্তা রয়েছে ৬৭ কিলোমিটার সে রাস্তাগুলোর আরো বেহাল দশা। হেরিং রাস্তা রয়েছে ৪ কিলোমিটার।
বছরের পর বছর ভারী বর্ষণ আর ভারী যান চলাচলের কারণে দুর্বল মেরামত করা উত্তর-দক্ষিন পূর্ব-পশ্চিমের রাস্তাগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। সংস্কারের সময় যে নিম্নমানের বিটুমিন, ইট-পাথর ব্যবহার করা হয়েছে তা আর রাস্তায় নেই, রাস্তার পাশে ছিটকে পরে আছে। নারিকেল বাড়ী, আব্দুল হাকিম, জোনাইডাঙ্গা, নাওডাঙ্গা নিজাই খামার গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে ঐ রাস্তাগুলোর ডানে বামে অসংখ্যা ছোট বড় খানাখন্দ হয়ে গেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় শহরের পার্শবর্তী রাস্তাগুলোতে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় যত্রতত্র কর্দমাক্ত ও খানাখন্দ হয়ে গেছে।
পৌর শহরের ভেতরে যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে সেটিও সরু হওয়ায় ড্রেন ভর্তি হয়ে নোংরা পানি উপচে পড়ে রাস্তায় ফলে জনমানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের রাস্তাগুলো দিয়ে প্রতিদিনই অগণিত ভারী-অর্ধভারী যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যানবাহনের চালকরা প্রায়ই যাত্রীসহ নানা দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে।
নারিকেল বাড়ী ৪ নং ওয়ার্ডের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালক হয়রত আলী জানায়, বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকে যার কারনে ইট পাথর উপড়ে গেছে, চাকা আর হ্যান্ডেল নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় প্রতিদিন ছোট বড় দুর্ঘটনায় পড়ছি।
কাচারি গ্রামের রানু, আব্দুল হাকিম গ্রামের মাসুদ রানা জানান, আমাদের ভাগ্যই খারাপ জন্য আমাদের রাস্তার কাজ হয় না। তারা আরো জানান, “ভ্যাট-ট্যাক্স সবই দেই হামার এতি নেতার চোখ নাই, ব্রীজ ভাঙ্গি যায় রাস্তা ভাঙ্গি যায়, হামরা বিপোদত থাকি ওমরা হামাক দেকেনা ।”
উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদেকুল আলম জানান, পৌরসভার রাস্তা উন্নয়নের কাজ পৌর কতৃপক্ষই করেন, আমরা চাইলেও সেটি হয়ে ওঠেনা।
পৌর মেয়র তারিক আবুল আলা চৌধুরী জানান, এলজিইডির কাছে রাস্তা মেরামতের তথ্য দেয়া আছে অর্থ বাজেট হলেই কাজ শুরু হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সমন্ধে জানতে চাইলে বলেন, উলিপুর বাজারে কিছুটা করা হয়েছে পর্যায়ক্রমে সবই করা হবে।