‘মা’ – অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান
মেঘনা নিউজ ডেস্ক বৃহস্পতিবার রাত ০২:২৪, ২০ আগস্ট, ২০২০
গল্পটা হয়তো হতে পারতো দুঃখের! সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিলাম প্রতিদিনের মত। গত কয়েকদিন বৃষ্টি হচ্ছে, জল বাড়ছে। মনে হলো দেখে আসি সেই তিনটে পাখির ডিম কেমন আছে! জলে ঢুবে গেল না তো? জল কাদা ডিঙিয়ে জায়গাটাতে পৌছে দেখি একটা ডিম ফুটে বাচ্চা জন্মেছে, আর দুটো ডিম হয়তো আজ ফুটবে, জল বেড়ে গিয়ে কাছে চলে এসেছে। দূর থেকেই দেখছি, কাছে গেলে আমার গায়ের গন্ধ ওখানে থেকে যাবে, তাতে হয়তো মা পাখি আর আসবে না। একটু খেয়াল করতেই দেখি, প্রায় মাটির রঙের সুতোর ফাঁদ চার দিকে! কোনও নিষ্ঠুর লোভী মানু্ষের কাজ! আশেপাশে প্রায় গোটা কয়েক ফাঁদ পরিস্কার করে দিয়ে এলাম। জানিনা মা পাখিকে বাঁচাতে পারবো কিনা! কোনও এক গ্রীস্মের দুপুরে দেখেছিলাম মা’পাখি মুখে করে খাবার এনে বাচ্ছার মুখে দিয়ে দিচ্ছে। মা এর স্নেহ আর ভালবাসার মত আর কিছু হয় না! আমার মা যেদিন চলে গেলেন, তার আগের দিন রাতে বেডে শুয়ে আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে মাথায় গালে খুব করে আদর করে দিয়েছিলো, সেই রাত্রেই মা চলে গেলো। কিন্তু সেই আদরের স্পর্শ আজ এতদিন পরেও অনুভব করি! জানো মা-এখন আর সেকথা মনে হলে অঝুরে কান্না আসে না! কিন্তু কেনোজানি হৃদয়ের রক্তক্ষরণ থামে না! যেখানেই থাকো ভালো থেকো ‘মা’!