পেওনার মাস্টারকার্ড ব্লক : হতাশ ফ্রিলান্সাররা
আরিফুল ইসলাম শনিবার বিকেল ০৫:০৩, ২৭ জুন, ২০২০
একদিকে যেমন চলছে করোনার প্রভাব অন্যদিকে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই এর প্রভাবে চলছে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা। একের পর এক খারাপ খবরে দিশেহারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় বড় ব্যবসায়ীরা।
তবে, এবার বড়সর ধাক্কা খেলো ফ্রিলান্সাররা। অনলাইন মার্কেট প্লেসগুলো থেকে কাজের পারিশ্রমিক সংগ্রহের বড় একটি মাধ্যম পেওনার। পেওনার মাষ্টার কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের পাশাপাশি জামাও রেখেছেন অনেক ফ্রিলান্সার।
অনলাইন সূত্রে যুক্তরাজ্যের ফিনান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটি (এফসিএ) যুক্তরাজ্যের একটি সংস্থা ওয়াইরকার্ড কার্ড সলিউশনস লিমিটেডকে নির্দেশ দিয়েছে যে এফআরএন ৯০০০৫১ রেফারেন্স নম্বর সহ কিছু অন্যান্য বিধিনিষেধের পাশাপাশি তার সমস্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আর্থিক কার্যক্রম বন্ধ করার। যার ফলে জার্মান সংস্থা ওয়াইকারার্ড এজি-র সমস্ত প্রিপেইড মাস্টারকার্ডের লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছে। আর্থিক আর্থিক পরিষেবা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়্যারকার্ড এজির ২২ বিলিয়ন ডলারের কেলেঙ্কারি ফাঁস হবার এখনকার প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী মার্কাস ব্রাউনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এফসিএ জানিয়েছে যে তারা ওয়্যারকার্ড গ্রাহকদের অর্থ সুরক্ষার প্রাথমিক লক্ষ্য হিসেবে এই ব্যবস্থা নিয়েছে। এফসিএ নির্দেশনা অনুযায়ী সাময়িকভাবে কার্ডের অর্থ উত্তোলন করা যাবেনা এবং কার্ডে নতুন অর্থ প্রদান করতেও পারা যাবেনা।
পেওনার কর্তৃপক্ষ তার সকল গ্রাহকদের ইমেইলের মাধ্যমে জানান, পেওনার বিশ্বাস করেন যে তাদের কার্ডধারীর অর্থ যথাযথভাবে সুরক্ষিত রয়েছে এবং সমস্যাটি অস্থায়ী হবে। এক টুইট বার্তায় তারা ঘোষণা করেছে তারা খুব শ্রীঘই বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করার ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে।
পেওনিয়ার এর ২০১৯ সালের এক জরিপে শীর্ষ দশে ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশে রয়েছে প্রচুর ফ্রিলান্সার যারা পেওনিয়ারের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। অনেকের প্রচুর ডলার আটকে আছে এ্যাকাউন্ট তাঁদের পেওনার একাউন্টে। কয়েকজন ফ্রিলান্সারের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা হতাশায় ভুগছে। এছাড়া দেশে পেপাল চালু না করার কারনে তারা পেওনারের উপরই নির্ভরশীল ছিল বাংলাদেশের ফ্রিলান্সাররা।