স্ত্রীর মর্যাদায় মেলেনি ৩ বছরেও
শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল সোমবার বিকেল ০৫:১২, ২২ মার্চ, ২০২১
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আপন চাচাতো বোনের সাথে বিয়ে না করেই ধরে অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। পরে বিষয়টি এলকায় ছড়িযে পড়লে এলাকাবাসীর চাপে পড়ে বিয়ে করলেও ভু্ক্তভোগী পাচ্ছে না স্ত্রীর মর্যাদা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের আব্দুল মোল্লার মেয়ের সাথে।
ভুক্তভোগী দাবি, প্রায় ৩ বছর যাবৎ আমার চাচা রাজ্জাক মোল্লার ছেলে গেদু স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্ত্বেও প্রেমের ছলনা করে আমাকে তার স্ত্রীর মত ব্যবহার করে আসছিল। সে বিভিন্ন সময় আমাকে তার স্ত্রী পরিচয়ে ঢাকা সাভার ও নবীনগর সহ বিভিন্নস্থানে বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছিল। প্রায় একমাস যাবৎ এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে আমাদের বিয়ে করে নিতে বললে, এলাকাবাসীর চাপের মুখে গেদু আমাকে ১৫ই মার্চ টাঙ্গাইল তার বোনের বাসায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর আমাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ভাদ্রা নামক স্থানে সিএনজি থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে দিয়ে সে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে আমার চাচার বাড়ি (শশুর বাড়ি) তুলে দিলেও আমার স্বামী আমার সাথে কোন যোগাযোগ করছে না। আমি জানতে পারি সে প্রথম স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে সাভার অবস্থান করছে। আমি আমার শুশুর বাড়িতে ৪ থেকে ৫ দিন ধরে অবস্থান করলেও আমার ভরণ-পোষণের কোন ব্যবস্থা করছে না তারা। আমার শুশুর বাড়ির লোকজন আমাকে কটু কথা শোনাচ্ছে। আমি এগুলো সহ্য না করতে পেরে ২১মার্চ (রবিবাার) আমার আরেক চাচার বাড়ি আশ্রয় গ্রহণ করি।
ভুক্তভোগী কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলে, আমার মাকে খুব অল্প বয়সে হারিয়েছি, আমার বাবা খুব অসুস্থ, বিছানা থেকে উঠতে পারে না, আমাদের থাকার মত নিজস্ব কোন ঘর নেই। এমতাবস্থায় আমি কি করব, কোথায় যাব, বুঝতে পারছি না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আমি ন্যায় বিচারের দাবি জানাই।
ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে লম্পট স্বামী গেদুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, সে বলে, সখি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী, আমি সখিকে নিয়ে সংসার করব। কিন্তু ও আমাকে আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে বলে, এটা আমার পক্ষে সম্ভব না। ভরণ-পোষণের কথা জিজ্ঞেস করলে সে টালবাহানা শুরু করে মোবাইল কেটে দেয়।
ভুক্তভোগীর শাশুরী গেদুর মা জানায়, বিষয়টি সত্য আমার ছেলে গেদু তার চাচাতো বোনকে বিয়ে করেছে। আমরা আমাদের ছেলের বউকে মেনে নিয়েছি। এখন আমার ছেলে মেনে নিলে আমাদের কোন সমস্যা নেই।
এ ব্যাপারে ১০ নং ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গদের নিয়ে বিষয়টির সুরাহার চেষ্টা করছি। এরপরও যদি বিষয়টি সুরাহা না হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।