সুবর্ণচরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান,জরিমানা আদায়
রিয়াজ উদ্দিন রুবেল,নোয়াখালী মঙ্গলবার রাত ০৩:০৫, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এবং ধূমপানে মানুষকে উৎসাহিত করায় জাপান টোবাকো কোম্পানিকে জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী ভূমি অফিসার জনাব আরিফুর রহমান।
১৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার ভূঁইয়ার হাট বাজারের পাশে ধুমপানে মানুষকে উৎসাহিত করতে প্রচারণার সামগ্রী ও উপহার সামগ্রী পাওয়ায় জাপান টোবাকো কে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৬৮ টি প্লেট ও ১৬ টি গ্লাস। উপহার সামগ্রী জব্দ করা হয় যা পরবর্তীতে নিলামে বিক্রি করা হবে বলে জানান সহকারী ভূমি অফিসার জনাব আরিফুর রহমান। এছাড়াও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় এক ব্যক্তিকে মানবিক দিক বিবেচনা করে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা সহকারী ভূমি অফিসার জনাব আরিফুর রহমান বলেন, মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করলে আশেপাশে ভাঙ্গন সহ ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। নিজের ব্যাক্তিগত লাভের কারণে অন্যের ক্ষতি করার অধিকার কারো নেই। এছাড়াও আইনে সরকার নির্ধারিত বালু মহাল ছাড়া লোকালয়, সরকারি স্থাপনা, রাস্তা ইত্যাদি থেকে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন এর সর্বনিম্ন শাস্তি ৫০,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ শাস্তি ১০,০০,০০০ টাকা। এই আইনে ৫০,০০০ টাকার নিচে জরিমানা করার সুযোগ নেই। এছাড়াও এই আইনে ২ বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া যাবে।
তিনি আরো বলেন, বালু উত্তোলন যে হারে বেড়ে যাচ্ছে তাতে করে আমাকে অফিসের কাজ বাদ দিয়ে বালু উত্তোলন কারীদের পিছনেই থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আমার অফিসের কাজে প্রচন্ড রকমের বিঘ্ন ঘটছে। এর মাধ্যমে এক দিকে মানুষ ভূমি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে একজনের বালি উত্তোলন এর ফলে আশেপাশে বসবাসকারী মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। উভয় ক্ষতি পোষাতে কঠোর হওয়া ছাড়া বিকল্প আর কিছু নেই।
এর ফলে জরিমানার পাশাপাশি হয়তো অনেক কে কারাবরণ করতে হতে পারে। তাই আসুন আমরা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করি। কারও যদি বালু বা মাটির নিজ কাজে ব্যবহার এর প্রয়োজন হয় তবে লোক রেখে কোদাল দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ভাবে মাটি কাটেন। এতে কারো ক্ষতি হবে না।