ঢাকা (রাত ৩:৩২) শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

Join Bangladesh Navy


সুনই জলমহাল হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় এমপি রতন ও উপজেলা চেয়ারম্যান রোকনসহ ৬৩ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ

মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) মোবারক হোসাইন,ধর্মপাশা(সুনামগঞ্জ) Clock শনিবার রাত ১০:৩১, ৯ জানুয়ারী, ২০২১

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজলার সুনই জলমহালে গত বহস্পতিবার দিবাগত রাত এক জনকে গলাকেটে হত্যা ও খলাঘরে অগিসংযাগ ও হামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জ ১আসনের সাংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসন রতন (৫২) ও তাঁর আপন ছোট ভাই ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন (৩২),তাঁর বড় ভাই উপজলা আওয়ামী লীগর ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোবারক হোসেন মাসুদ (৫৫) সহ ৬৩ জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় লিখিত অভিযাগ করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনায় ধর্মপাশা থানার ওসির কাছে লিখিত অভিযাগ করেছেন নিহত শ্যামাচরণের ছেলে সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি চন্দন বর্মন।

ধর্মপাশা থানা পুলিশ, এলাকাবাসী ও  সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কয়েকজন সদস্যদর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার সুনই জলমহালটি জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন। ১৪২২ বঙ্গাব্দ থেকে ১৪২৭ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য এটি ইজারা পায় সুনই মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। সমিতির পক্ষ থেকে সর্বশেষ চলতি ১৪২৭ বঙ্গাব্দের খাজনা পরিশাধ করেন সমিতির সভাপতি চন্দন বর্মন। অপরদিকে ওই সমিতির সভাপতি দাবি করেন স্থানীয় এমপি মোয়াজ্জম হোসেন রতন ও তাঁর ছোট ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনের অনুসারীরা।

গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিক সুনই জলমহালে হামলা চালিয়ে জলমহালের পাড়ে থাকা তাঁদের দুটি খলাঘরে অগ্নিসংযাগ,হামলা ও মারধর করে ১৫-২০জনকে আহত করে। হামলা ও অগ্নিসংযাগে বাধা দিলে সুনুই জলমহালটির খলা এলাকায় থাকা সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য শ্যামাচরণ বর্মণকে(৬৫) গলাকেটে জবাই করে হত্যা করা হয়।

ঘটনার দিন রাতে ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকা থেকে সন্দেহজনকভাবে ২৩ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে দুজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিল। তাই ২১জনকে আটক করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মাদ দেলোয়ার হোসন শনিবার রাত আটটার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযাগ পেয়েছি। অভিযাগে সাংসদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর নাম রয়েছে কীনা তা জানতে চাইলে তিনি জানান, তদন্তের স্বার্থে আপাতত কাদের নামে অভিযাগ করা হয়েছে তা বলা যাবে না। এ নিয়ে প্রয়াজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সাংবাদিকদের বলেন,আমি ধর্মপাশা উপজেলায় ছিলাম না,এলাকাবাসী সবাই জানে। হত্যাকাণ্ড ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যাদেরেই নাম বেরিয়ে আসবে তাদেরেই আইনের আওতায় আনা হোক।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT