ঢাকা (সকাল ১১:০৫) রবিবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


সাঘাটায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঙ্গালী নদীর পুন:খনন কাজ শুরু

আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা আসাদ খন্দকার,সাঘাটা,গাইবান্ধা Clock মঙ্গলবার বিকেল ০৫:১৮, ১ জুন, ২০২১

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে বাঙ্গালী নদী। চিরচেনা এ নদীতে নানা কারণে কমে যায় প্রানির প্রবাহ। দেখা দেয় নাব্যতা সংকট। এটি নিরসনে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু করা হয়েছে পুন:খনন ও তীর সংরক্ষণ কাজ।

সরেজমিনে গত মঙ্গলবার সাঘাটা উপজেলার সতীতলা এলাকায় বাঙ্গালী নদী পুন:খনন ও তীর সংরক্ষণ কাজ করতে দেখা গেছে। এ সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মিস্ত্রী-শ্রমিকরা তাদের যন্ত্রাংশ নিয়ে ওই কাজটি করছিলেন।

জানা যায়, নদী সিস্টেম ড্রেজিং বা পুন:খননসহ তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সাঘাটার বাঙ্গালী নদী পুন:খনন ও নদীর অন্যান্য কাজ সম্পাদনে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। প্রকল্পের ১৮ নং প্যাকেজে গাইবান্ধার সাঘাটা-গোবিন্দগঞ্জ থেকে বগুড়ার সোনাতলা পর্যন্ত ১১-২৪ কিলোমিটার ড্রেজিং ও ব্লক স্থাপনসহ আরও অন্যান্য কাজ করা হবে। এর আগে প্রকল্প পরিচালকের নেতৃত্বে একটি রেকি দল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছে। ইতোমধ্যে এই কাজটি শুরু করছে শামীম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাঙ্গালী নদীর পুন:খনন ও তীর সংরক্ষণসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন হলে ভাঙনের তীব্রতা হ্রাস পাবে। নিশ্চিত হবে নাব্যতা। অবাধে চলাচল করতে পারবে নৌযানসহ মালবাহী জাহাজগুলো। একই সঙ্গে রক্ষা পাবে প্রাকৃতিক সম্পদ। এছাড়া টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও প্রান্তীক সেক্টরে উন্নয়ন সংগঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নদীপাড়ের বাসিন্দা হাবিবুর ও মশিউর বলেন, এখন পর্যন্ত পুন:খনন ও তীর সংরক্ষণসহ অন্যান্য কাজগুলো সঠিকভাবে করা হচ্ছে। এভাবে সম্পন্ন হলে নদীর তীরবর্তী পরিবারগুলো নিরাপদে বসবাস করতে পারবে। সেই সঙ্গে আর্থ- সামাজিক উন্নয়নেও ঘটবে অনেকটাই।

এ প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বাদল মিয়া ও তানজিমুল ইসলাম তুষার বলেন, কাজটি বাস্তবায়ন কল্পে নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০ ভাগ অর্জন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১৮ নং প্যাকেজের এ কাজ সম্পন্ন করা যেতে পারে।

সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, মরা বাঙ্গালী নদীর পূণ: খনন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি পাবে ও নাব্যতা সংকট দূর হবে।

এ বিষয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এটিএম রেজাউর রহমান বলেন- এলাকার লোকজন কাজের বিঘ্ন না ঘটিয়ে খনন কাজে আমাদেরকে সহযোগীতা করলে সুষ্ঠভাবে কাজটি সম্পন্ন করতে পারব।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT