দায়িত্ব নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করলেন শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী আলি সাবরি। তিনি দায়িত্ব নিয়েছিলেন এই সংকটের সময়েই। কিন্তু তিনি কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ফের শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে তিনি চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তিনি সাংসদ পদ থেকেই পদত্যাগ করতে চান। অন্য কোন যোগ্য মানুষকে সংকটের এই সময়ে দায়িত্ব দিতে।
এ দিকে শ্রীলঙ্কায় শাসকদলের হাতে হয়ত আর ক্ষমতা থাকবে না। কারণ সংসদে সেই দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। গত মঙ্গলবার শাসকদলের সমর্থক ৪১ সাংসদ সমর্থন তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির তরফ থেকে বলা হয়েছে, সরকারের থেকে তারা সমর্থন তুলে নেবেন।
শ্রীলঙ্কার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে শুরু করে সে দেশের পুলিশও। বলা হয়েছে, যদি প্রতিবাদ বা বিক্ষোভের নাম করে কেউ হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করেন, তা হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীলঙ্কায় শাসকের পরিবর্তনের দাবি আরও জোরালো হচ্ছে রোজই। সঙ্ককারা, মাহেলা জয়বর্ধনের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট প্লেয়াররাও সরকার বদলের দাবিতে সরব হচ্ছেন। তারা দাবি করছেন, এই অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে নতুন করে প্রশাসনিক বদলের দাবি করছেন।
এ দিকে শ্রীলঙ্কার যুবকদের মধ্যে থেকে আন্দোলনের বার্তা উচ্চারিত হচ্ছে, তাতে বলা হচ্ছে, শ্রীলঙ্কায় যেন একটি আরব স্প্রিং হচ্ছে। যেভাবে যুবকদের আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিল একাধিক দেশ, তেমনই এক ঢেউ তৈরি হয়েছে শ্রীলঙ্কাতেও।