শেষ দুদিনে বিক্রির আশায় ব্যাপারীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি বুধবার সন্ধ্যা ০৬:৪৫, ৬ জুলাই, ২০২২
মেহেরপুরের গাংনী থেকে দুটি বড় গরু নিয়ে রাজধানীর গাবতলী হাটে এসেছেন শহীদুল ইসলাম। প্রতিটি গরুর দাম হাঁকছেন সাড়ে ১৩ লাখ টাকা। দাবি করা হচ্ছে মাংস হবে দেড় টন। অনেক আশা করে গাবতলী হাটে দুটো গরু নিয়ে আসলেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা মিলছে না। তবে ঈদের আগের দুদিন শুক্র ও শনিবার কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা মিলবে বলে আশা করছেন ব্যাপারীরা।
বুধবার (৬ জুলাই) রাজধানীর একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলী ঘুরে দেখা গেছে, এখানে বড় গরুর তে ক্রেতা কম। যেসব ক্রেতা আসছেন তারাও আশানুরূপ দাম বলছেন না।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে গাবতলীর হাটে একটি বড় গরু তুলেছেন আব্দুর রহিম। তার দাবি, বড় গরুর দাম আশানুরূপ বলা হচ্ছে না। তিনি বলেন, ১৫ লাখ টাকা মূল্যের গরুর দাম বলা হচ্ছে খুবই কম, যা বলার মতো না। তবে সামনে বড় গরুর ক্রেতা হাটে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আব্দুর রহিম।
গাবতলী হাট ঘুরে দেখা গেছে, তিন থেকে চার মণ মাংস হবে এমন (মাঝারি আকৃতির) গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। হাটে মাঝারি গরুর চাহিদাও বেশি। তবে সেইভাবে বড় গরুর ক্রেতা দেখা যায়নি।
যদিও রাজধানীর ক্রেতারা ঈদের এক-দুদিন আগে কোরবানির পশু কিনে থাকেন। সেই হিসেবে শুক্র ও শনিবার রাজধানীর হাটগুলোতে ক্রেতা বাড়বে। তখন বড় গরুর চাহিদাও বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
ঝিনাইদহ থেকে ১০টি বড় গরু হাটে তুলেছেন হাসমত ব্যাপারী। গরু ভেদে দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। তবে এখনো গরু বিক্রি করতে পারেননি তিনি। হাসমত বলেন, ঢাকায় বড় গরু কিনে রাখা (জায়গা) সমস্যা। ঈদের আগে শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি, তখন ক্রেতা পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।