মীর এম ইমরান,মাদারীপুর শনিবার সন্ধ্যা ০৭:০৯, ৩১ জুলাই, ২০২১
শিমুলীয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে কঠোর লকডাউন এ ঢাকামুখী যাত্রী চাপ,শত শত কাঁচা মালবাহী ও পন্যবাহী ট্রাক পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছে বিআইডব্লিউটিসি।দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপে কানায় কানায় ভরে গেছে ফেরি, পল্টুন ও ঘাট এলাকা। পাশাপাশি দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চল যাত্রীদের চাপ রয়েছে অনেক। ফেরি চলাচল আগের তুলনায় সীমিত করায় গাদাগাদি করে যাত্রীরা পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।
১০টি ফেরি চলছে। লঞ্চসহ অন্যান্য নৌযান বন্ধ রয়েছে। ফেরিতে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন কোন বালাই নেই। এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বৃদ্ধি, ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে।
যাত্রীদের কাছে ঘাটে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি খুলে দেওয়ায় আগামী রবিবার থেকে আমাদের অফিস করতে হবে তাই জরুরি ভিত্তিতে আমাদের আজকের ভিতরে ঢাকা পৌছাতে হবে। কিন্তু পথে পথে অনেক ভোগান্তি আমাদের পোহাতে হচ্ছে। পরিবহন সেক্টর বন্ধ রেখে গার্মেন্টস সেক্টর খুলে দেওয়ায় আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে ঢাকায় যেতে।
যাত্রীরা কয়েকগুন ভাড়া গুনে দুই ও তিন চাক্কার যানবাহনে দক্ষিন- পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাগুলো থেকে ঘাটে ও পরে ঘাট থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছাচ্ছেন। যাত্রীরা কয়েকগুন ভাড়া গুনে বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিন – পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে মটরসাইকেল, ঈজিবাইক, থ্রীহুইলারসহ হালকা যানবাহনে চড়ে ঘাটে আসছেন। একইভাবে যাত্রীরা ঘাট থেকে দক্ষিন – পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌছাচ্ছেন। নানান অজুহাতে যাত্রীরা ছুটছেন ঢাকায়।
যাত্রীদের চাপ এর বিষয়ে ঘাট কতৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাট ম্যানেজার মোঃ আলাউদ্দীন জানান, যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় আমরা স্বল্প পরিসরে দশটি ফেরি দিয়ে পদ্মায় জরুরি পণ্যবাহী পরিবহন গুলো পারাপার করছি। কিন্তু হঠাৎ যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।