রৌমারীতে নিখোঁজের চারদিন পর স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি রবিবার রাত ১১:২১, ২০ অক্টোবর, ২০১৯
সাজাদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মমতাজ আক্তার জেমি নামের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের চারদিন পর পুলিশ তার হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে। উপজেলার দুর্গম চরঘুঘুমারী চরের ব্রহ্মপুত্র নদের একটি কাশবন থেকে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে স্কুলের পোশাক পরা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত বুধবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করা হয় তাকে। তবে অপহরণের সঙ্গে কারা জড়িত তাৎক্ষনিক ভাবে তা জানা যায়নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ছাত্রীটি ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকতে পারে। তাকে হত্যা করে ব্রহ্মপুত্র নদের চরের ওই কাশবনে লাশ ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। নদে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা লাশের খোঁজ পায়। বিষয়টি জানাজানি হলে নিহতের পরিবার গিয়ে লাশ সনাক্ত করে এবং থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
নিহত ছাত্রীর বাবা সাহালম মিয়া দিনমজুর। মা নুরজাহান বেগম বেঁচে নেই। তাদের বাড়ি চরঘুঘুমারী গ্রামে। মমতাজ আক্তার জেমি পাখি উড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। পায়ে হেঁটে স্কুলে যাতায়াত করত সে। এবার জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিলো তার। স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, জেএসসি টেস্ট পরীক্ষা শেষে প্রতিদিনের মতো ওই দিন স্কুল থেকে বের হয়ে যায় জেমি। কিন্তু সে বাড়ি ফেরেনি। চারদিন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর লাশ পাওয়া গেলো।
পাখি উড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান দুলাল জানান, স্কুল ড্রেস পরিহিতা মেয়েটির হাত দুটি বাঁধা ছিলো। নিখোঁজ হওয়ার দিনেই তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বল ধারণা করা হচ্ছে।
ছাত্রীর বাবা সাহালম মিয়া ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত থাকতে পারে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেন নি।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনাস্থল থেকে জানান, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। লাশ উদ্ধার হোক তারপর তদন্তে সব কিছু বের হয়ে আসবে।