রানীনগরে শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের ফসল ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি
নিজস্ব প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার রাত ০৯:১৩, ২৩ এপ্রিল, ২০২০
আবু ইউসুফ, নওগাঁ প্রতিনিধি :- নওগাঁর রাণীনগরে শিলাবৃষ্টিতে ফসল ও বাড়ী ঘড়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় জমির ধান, মৌসুমি বিভিন্ন রকম ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও শিলাবৃষ্টিতে বাড়ীর ঘড়ের টিনের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, গত বুধবার বিকেলে হঠাৎ করেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। এতে উপজেলার বড়গাছা, আকনা, বাঁশবাড়িয়া, গিরিগ্রাম, শলিয়া, পানলা, ভাটকৈ, চামটা, আমিরপুর, লক্ষিকোলা, গুয়াতা, উজালপুর,জলকৈ, রায়পুর, স্থল, সড়িয়াসহ বেশ কিছু এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমির পাকা, আধা পাকা ধান নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও শিলাবৃষ্টিতে শত শত ঘড়ের টিনের চাল শিল পরে ছিদ্র হয়ে ঝাঁজড়া হয়ে যায়। উপজেলার স্থল গ্রামের হাফিজুর রহমান জানান, তিনি প্রায় ১৮ বিঘা জমিতে ইরি ধান রোপন করেছেন। শিলাবৃষ্টির কারণে সব ধান ঝড়ে পরেগেছে এতে বিঘা প্রতি হয়তো ৫/৬ মন করে ধান পেতে পারি।
গুয়াতা গ্রামের নওশাদ,জলকৈ গ্রামের দুলাল চন্দ্র,আকনা গ্রামের মোসলেম উদ্দীন, স্থল গ্রামের মঞ্জুরব সরদারসহ আরো কৃষক জানান,পাকা ধান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। তবে যে দু/চার বিঘা জমিতে কিছুটা কাঁচা ধান আছে সে সব জমিতে হয়তোবা কিছু ধান পাওয়া যাবে। এছাড়াও বিঘা প্রতি দেড়/দুইমন করে ধান পাওয়া যেতে পারে। এদিকে সিলমাদার গ্রামের রফিকুল ইসলাম ,মোজাম্মেল হোসেন,স্থল গ্রামের সুদাম কর্মকার জানান,শিলাবৃষ্টিতে একদিকে মাঠের ধান আবার অন্যদিকে বাড়ীর টিনের চালা ছিদ্র হয়ে ঝাঁজড়া হয়ে গেছে। কৃষকরা বলছেন এমনিতেই কয়েক বছর ধরে নানা কারণে ধান আবাদ করে লোকসান লেগেই আছে। এর মধ্যে শিলাবৃষ্টি যে ক্ষতি হলো তা হয়তো বা আর পোষানো সম্ভব হবেনা।
এবিষয়ে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম জানান, শিলাবৃষ্টিতে কয়েক এলাকার আনুমানিক প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধারণা করছি। তার পরেও মাঠ পর্যায়ে মাঠ কর্মীরা তালিকার কাজ শুরু করেছে। তালিকা হাতে পেলে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা সঠিকভাবে বলা যাবে।
এবিষয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ্যদের তালিকা তৈরি করে জমা দিতে বলেছি।