মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ভারতকে হারিয়ে স্বর্নপদক বাংলাদেশের
ওবায়দুর রহমান, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) রবিবার রাত ০৯:৪৬, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২
বাংলাদেশ-ভারত মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় স্বর্নপদক অর্জন করেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রায়হান উদ্দিন ফকির। তিনি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া)। গত শুক্রবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় ১০০ মিটার হার্ডেলস এ প্রথম স্থান (স্বর্নপদক), ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তৃতীয় স্থান এবং উচ্চ লাফ এ প্রথম স্থান (স্বর্নপদক) অর্জন করেছেন।
রায়হান ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর গ্রামের মৃত আবদুল হাকিম ফকির ও রেজিয়া খাতুন দম্পতির সন্তান। রায়হান অচিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই স্কুল পর্যায়ে উপজেলায় দৌড়, লংজাম্প ও হাইজাম্পে ১১ বার চ্যাম্পিয়ন হন। পরবর্তী সময়ে শাহ্গঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় সুনাম অর্জন করেন। ১৯৮৭ ও ৮৮ সালে দুবার আন্ত:জেলা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় হাইজাম্প, লংজাম্প ও ১০০ মিটারে দৌড়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন রায়হান। এরপর ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়েও চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ২০১৮ সালে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তাদের মধ্যে আয়োজিত ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় একককে চ্যাম্পিয়ন ও দ্বৈতে রানারআপ হন তিনি।
জানা গেছে, চাকুরী জীবনের প্রথম ধাপে শিক্ষক থাকাকালীন সময়ে তিনি সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করেন। খেলাধূলার প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ ও ক্রীড়া সূলভ মনোভাবের কারণে তাকে এ বাহিনীতে সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি তাঁর মেধা, মননশীলতা ও যোগ্যতাদ্বারা ক্রীড়া দলে সাফল্য অর্জনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন যা প্রশংসার দাবি রাখেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার জন্য পদোন্নতি প্রাপ্ত হয়ে তিনি পুণরায় সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া ও সংস্কৃতি) হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ক্রীড়া দল’-এর ৫২ (বায়ান্ন)টি টীম রয়েছে। তিনি প্রতিটি টীমের টীম ম্যানেজারের দায়িত্ব অতি সুনিপুনভাবে পালন করে আসছেন। তার নেতৃত্বে এ বাহিনী সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস এ ৫ম বারে মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
রায়হান উদ্দিন ফকির জানান, তিনি একজন বিসিএস ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তা হয়েও অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও মনোবলের কারণে তিনি জাতীয় মাস্টার্স এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা ২০১৬ সালে অংশগ্রহণ করে ২টি স্বর্ণ ও ১টি রৌপ্য এবং ২০১৮ সালে ১টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য পদক অর্জন করে এ বাহিনীর সম্মান বয়ে চলেছেন, যা ভবিষ্যত খেলোয়াড়দের প্রেরণা যোগাবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলে পদক অর্জন করা আমার জন্য গৌরবের। আমার এ অর্জনের জন্য সকলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ বলেন, উনার এ অর্জন গৌরীপুর তথা দেশের সুনাম কুঁড়িয়ে এনেছে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উজ্জ্বীবিত করবে।