মাদারীপুরের বিভিন্ন হাটবাজারে কেজিতে তরমুজ বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান, ১৪ ব্যবসায়ীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাদারীপুর ও শিবচরের বিভিন্ন হাট বাজারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতটি পরিচালনা করে। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কেজিতে তরমুজ বিক্রেতাদের সর্তক করে দেন যাতে আগামীতে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি না করে।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, তীব্র গরম ও রমজান উপলক্ষে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে কেজিতে তরমুজ বিক্রি শুরু করেন। প্রতি পিচ তরমুজ ৫০ থেকে ৬০টাকায় কিনে সেই তরমুজ প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। সাধারণ মানুষের তরমুজ কিনে খেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। অপর দিকে অসাধু ব্যবসায়ীরা একটি তরমুজে প্রায় ৩ থেকে ৪ গুন লাভ করছে। গত কয়েকদিন ধরে এই বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হয়।
কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন, এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবে কিনবে সেভাবেই বেচতে হবে। সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে এবং বিভিন্ন মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাদারীপুর, শিবচরের বিভিন্ন হাটবাজারে অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ওজনে কেজি হিসেবে বিক্রি করেন। আমরা কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি ফল আড়তের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী মণ হিসেবেই কিনে আনেন। কিন্তু কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকাও লাভ করেছেন কেউ কেউ। কেজিতে তরমুজ বিক্রির অভিযোগে ৮জনকে জরিমানা করা হয়েছে।