ভোলায় মা ইলিশ শিকারের অপরাধে গ্রাম পুলিশ সহ ১১ জনের জেল-জড়িমানা
নিজস্ব প্রতিনিধি মঙ্গলবার রাত ১১:২৪, ২২ অক্টোবর, ২০১৯
কামরুজ্জামান শাহীন, ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় মা ইলিশ শিকারের অপরাধে ৫জন গ্রাম পুলিশ(দফাদার)সহ ১১ জনকে জেল-জড়িমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ভোলা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. কাওছার হোসেন এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভোলার দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের দফাদার মো. ইউছুফ, একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. মোশারেফ হোসেন (হেজু), ২নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আব্দুল মন্নান, ৩ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. হেলাল ও ৫ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. লোকমান হোসেন। বাকিরা হলেন- সদর উপজেলার মো. নুরউদ্দিন, মো. ইউছুফ, মো. অহিদ ও মো. ইব্রাহীম ও দিন মোহাম্মদ ও জসিম নামের ২ জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকালে মৎস্য বিভাগ ও নৌ পুলিশের একটি টিম ভোলার মেঘনা নদীতে অভিযানে নামে। এ সময় মেঘনা নদীর ভোলার খাল পয়েন্ট থেকে একটি ট্রলারে ৫জন গ্রাম পুলিশকে পোশাক পরিহিত অবস্থায় মাছ ও জালসহ আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে থেকে ১০ কেজি মা ইলিশ ও ১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে এর আগেও নিষিদ্ধকালীন নদীতে জেলেদের দিয়ে মাছ ধরানো এবং জেলেদের থেকে জাল- মাছ নিয়ে যাওয়া সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রাম পুলিশ ছাড়াও অভিযানে আরও ৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ গ্রাম পুলিশ ও ৪ জেলেকে ১বছর করে কারাদণ্ড ও ২ জেলেকে ৫হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করে
ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন সময়। এসময় মেঘনা- তেঁতুলিয়াসহ সব নদীতে ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।