বিয়ের প্রলোভনে শারিরিক সম্পর্ক,বিয়ের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি ডেকে নিয়ে এসে প্রেমিক লাপাত্তা
শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল সোমবার বিকেল ০৪:০০, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রায় ৮ দিন ধরে অবস্থান করছে অনার্স পড়ুয়া এক ছাত্রী। ভু্ক্তভোগী ছাত্রীর দাবী তিন বছর যাবৎ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ভোগ করে আসছে প্রেমিক ফরিদ।
গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ভালবাসা দিবসে পুনরায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফরিদ নিজ বাড়ি ডেকে নিয়ে এসে প্রেমিক ফরিদ লাপাত্তা হয়ে রয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কাঁচাপাই গ্রামের মহারাজ মিয়ার মেয়ের সাথে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের জানান, পাশাপাশি গ্রাম ও একই স্কুলে পড়ার সুবাধে সলিমাবাদ ইউনিয়নের খাষ ঘুনিপাড়া গ্রামের আব্দুল বাতেন (বিডিআর) এর ছেলে ফরিদের সাথে আমার পরিচয়। পরিচয় এর সূত্র ধরে গভীর প্রেমে রুপ নেয় সেই সম্পর্ক। ফরিদ আমাকে প্রথমে সিনেমা হলে ছবি দেখতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে ও বিবস্ত্র করে ছবি মোবাইলে ধারণ করে রাখে। পরবর্ত্তীতে প্রায় ৩ বছর যাবৎ মোবাইলে ধারণকৃত ছবি দেখিয়ে ও আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আমার সাথে আমার দেহ ভোগ করে।
আমি গত ১৪ই ফেব্রুয়ারী (রবিবার) বিশ্ব ভালবাসা দিবসে, বিয়ের জন্য চাপ দিলে ফরিদ আমাকে তার বাড়ি আসতে বলে। আমি ফরিদের কথামত তাদের বাড়ি আসলে ফরিদের আম্মাসহ অন্যান্য অপরিচিত মহিলা আমাকে চুল ধরে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে, আমি ফরিদের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফরিদের মোবাইল বন্ধ পাই। এ বিষয়ে নাগরপুর থানায় অভিযোগ করতে গেলে ফরিদ আমাকে অপরিচিত নম্বর দিয়ে ফোন দিয়ে বলে, থানায় অভিযোগ করার দরকার নেই তুমি আমার বাড়ি চলে যাও। আমি তোমাকে বিয়ে করব। আমি আবারও ওর কথা বিশ্বাস করে পুনরায় ২১ ফেব্রুয়ারী ওদের বাড়ি ফিরে আসি, এসে দেখি ওদের বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় আছে।
কান্নাজড়িত কন্ঠে ভুক্তভোগী আরো বলে, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে এখন ফরিদ আমাকে বিয়ে না করলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোন উপায় নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলার খাষ ঘুনিপাড়ার আব্দুল বাতেন (বিডিআর) এর ছেলে প্রেমিক ফরিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে ফরিদের পিতা বিডিআর সদস্য বাতেন মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমার কর্মস্থল নিয়ে আমি ব্যস্ত থাকি ছেলে কোথায় কি করে সেটাতো আমি বলতে পারব না, যদি আমার ছেলে দোষ করে থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইনুযায়ী যে শাস্তি হবে সেটা মেনে নিব।
এব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমান জানান, এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয় নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।