বিল পরিশোধের পরও বিদ্যুৎ সংযোগ কর্তন; প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ মঙ্গলবার রাত ০৯:১৮, ২৪ মে, ২০২২
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)’র গাফিলতিতে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্থের শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ বিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধের পরও, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় বিদ্যুৎ প্রকৌশল বিভাগের টিম।
মঙ্গলবার (২৪ মে) ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মাছের রেনু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ঝলক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রে (হ্যাচারী)।
এ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনায় হ্যাচারীটিতে রেনু মরে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝলক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র (হ্যাচারী) কালীপুর মধ্যমতরফ (কলাবাগান) শাখার বিদ্যুৎ বিল আসে ২২ হাজার ৮শ ৯৭ টাকা, যা নির্ধারিত সময় ১৭ মে বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু বিলটি পরিশোধের পর মঙ্গলবার বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন সংযোগটি কর্তন করে দেয়।
এ শাখার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ রমজান আলী জানান, বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন এসে কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই সংযোগটি কর্তন করে দেয়, তাদেরকে বিল পরিশোধের বিষয়টি জানানোর পরও তারা কর্তন করে চলে যায়। একটু পরেই রেনু অক্সিজেনের ঘাটতিতে মরতে শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রীর স্বর্নপদকপ্রাপ্ত হ্যাচারী মালিক অজিত কুমার চৌহান বলেন, আমার তিনটি হ্যাচারী ও একটি প্রজেক্ট রয়েছে। সবগুলোর বিদ্যুৎ বিল সঠিক সময়ে পরিশোধ করে থাকি। এই বিলটি ২/৩ মাসে একসাথে নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করলেও সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেয়ায় আমার প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দাবী করে তিনি আরো বলেন, যে রেনু ট্যাংকিতে রয়েছে তার মধ্য থেকেও যেগুলোতে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়েছে সেগুলোও হয়তো মারা যাবে। আরও ১ লক্ষ টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসান মারুফ জানান, ঘটনাটি জানার পর পরই ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে পরিদর্শন করার নির্দেশ প্রদান করেছি এবং তিনি ইতোমধ্যেই হ্যাচারিটি পরিদর্শন করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের কপি তাৎক্ষণিক দেখাতে না পারায় ময়মনসিংহ থেকে পরিচালিত টাক্সফোর্স প্রোগ্রাম সংযোগটি কর্তন করে। পরবর্তীতে বিলের কপি জমা দেয়ার পর পুনঃসংযোগ দেয়া হবে।