ওবায়দুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত ০৮:৩৮, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীতে বিচার বর্হিভুত নির্যাতন ও হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যৌথবাহিনীর নির্যাতনে সোহরাব হোসেন আপেল গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ও শফিকুল ইসলাম বগুড়া জিয়াউর রহমান কলেজ হাসপাতালে গত ১০ সেপ্টেম্বর নিহত হয়েছেন। এছাড়া মূমুর্ষ অবস্থায় নির্যাতনের শিকার রিয়াজুল ইসলামকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হতে হেলিকপ্টার যোগে পরদিন ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে অপর জন সাহাদত হোসেন পলাশকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল হতে রংপুর সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসীর আয়োজনে সাঘাটা- গাইবান্ধা সড়কের ভরতখালী এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নিহতদের পরিবারের সদস্য সুজাউদ্দৌলা সুজা, তহমিনা এ্যানি ও রোকসানা আক্তার প্রমুখ। এসময় তারা যৌবাহিনীর হাতে নিহত এবং আহতদের ওপর পাষবিক নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরে দোষিদের শাস্তিরদাবি করেন।

পরে মানববন্ধকারীরা সড়কে বিক্ষোভ এবং ভরতখালী চৌমাথায় সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখে, জাতীয় কৃষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম গোলাপ, সাম্যবাদি আন্দোলনের গাইবান্ধা জেলা নেতা মুঞ্জুরুল আলম মিঠু, জেলা সেচপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, সমাজ সেবক শামছুল হক, সাঘাটা উপজেলা ভুমিহীন সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, বিগত সরকারের বিচারবহির্ভত হত্যাকান্ডসহ জুলুম নির্যাতনের হাত থেকে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আবারও সেই জুলুম নির্যাতন দেখতে চাইনা। যারা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে বিচারবর্হিভুত নির্যাতন ও হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তাদের আইনের আওতায় এনে বক্তারা বিচারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য গত ৯ই সেপ্টেম্বর গভীর রাতে উপজেলার ভতরখালী এলাকায় সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট -এর বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। রাতভর অভিযান চালিয়ে যৌথবাহিনী সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান সুইট সহ ৫ জনকে আটক করে পরদিন সকালে চিকিৎসার জন্য প্রথমে তাদের সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কতব্যরত চিকিৎসক আটককৃতদের ২ জনকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ৩ জনকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদের মধ্যে বগুড়া জিয়াউর রহমান কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় পথিমধ্যে শফিকুল ইসলাম (৪৫) এবং গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহরাব হোসেন আপেল (৩৫) মারা যান। ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।