বালু খেকোদের দৌরাত্ম্যে নিরব প্রশাসন
শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল সোমবার দুপুর ০৩:৫৩, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০
টাঙ্গাইলের নাগরপুরের পুরো উপজেলা ও উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় দাম্ভিকতার সাথে সুদীর্ঘ সময় যাবৎ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে একদল বালু খেকো।
গত কয়েকদিন সরেজমিনে উপজেলার এলাসীন ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত শামসুল সেতুর দু’পাশ, সহবতপুরের নন্দপাড়া ধলেশ্বরীর শাখা নদী দু’পাড়, গয়হাটা ইউনিয়নের আগত গয়হাটা নদী, মোকনা ইউনিয়নের কেদারপুর শেখ হাসিনা সেতুর পূর্ব পাড়, সলিমাবাদ ও দপ্তিয়র ইউনিয়নের যমুনার শাখা নদী, মামুদনগর ইউনিয়নের ধল্লা নদী পাড়, ভারড়া ইউনিয়নের আগদিঘুলিয়া সহ পুরো উপজেলার নদী, খাল, বিল, খাষ জমি, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু ও আবাদি জমির উপরের উর্ব্বর টপ সয়েল উত্তোলনে মরিয়া হয়ে উঠেছে বালু দস্যুরা। এদের মধ্য কেউবা বাংলা ড্রেজার দিয়ে, ভেকু বা এক্সেভেটর দিয়ে কেউ বা আবার বেলচা দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ একদল বালু খেকোরা নিয়মিত এসব জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও আশানুরূপ ফল পায়নি। উপরন্তু বিভিন্ন ভাবে বালু খেকোদের দ্বারা হয়রানির স্বীকার হয়েছ। সমবেতকণ্ঠে তারা বলে এ সব জায়গা থেকে বালু খেকোদের চিরতরে নিমূল না করলে আমাদের কৃষি জমি ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়াও ফসলের উৎপাদন ব্যাহত হবে।
উল্লেখ্য গয়হাটা ইউনিয়নের শান্তি নগর গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে নাগরপুর উপজেলার এলজিইডি দপ্তরের হিসাব রক্ষক নজরুল ইসলামের আপন ছোট ভাই মনসুর করিম গয়হাটা ইউনিয়নের আবদ গয়হাটা নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। নাগরপুর ও চৌহালী উপজেলার প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে বালু, মাদকের রমরমা ব্যবসা পরিচালনা করছে।
অবৈধ বালু ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে রীতিমত এলাকার যুবকদের মাদক অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলছে। মাইলের পর মাইল এলাকায় বালুর পাহাড় গড়তে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সাহায্য করছে নেশাগ্রস্ত এসব উঠতি বয়সী ছেলেরা, থাকে ২৪ ঘন্টা পাহাড়ায়।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও সিফাত-ই-জাহান বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যারা আইন অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।