নাগরপুরে শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্নে বালু উত্তোলনের মহা উৎসব
মোঃ শাকিল হোসেন শওকত,টাঙ্গাইল সোমবার দুপুর ০৩:৪২, ২৩ আগস্ট, ২০২১
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের কেদারপুর ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুর দু’পাশে চলছে বালি উত্তোলনের মহা উৎসব।
সারা বছরই এই সেতুর উভয় পাড় থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি মহল। ইতিপূর্বে প্রশাসন বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে এর সাথে জড়িতদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিলেও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন।
সরেজমিনে, শেখ হাসিনার সেতুর পূর্ব পাশে দেখা যায়, এবছরে বৃষ্টির ফলে সেতুর অ্যাপ্রোচে যে গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল, তার পাশ থেকেই অবাধে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু।
প্রতিদিন সূর্য উদয় থেকে সূর্য্যাস্ত পর্যন্ত সময়ে এদের উপদ্রপ বেশি থাকলেও, এখানে কখনও বন্ধ থাকেনা বালু উত্তোলন।
এভাবে বালু উত্তোলন করতে থাকলে, অচিরেই সেতুটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নাগরপুর উপজেলার সাথে মোকনা, পাকুটিয়া, দেলদুয়ার, মির্জাপুর, সাটুরিয়া, কালমপুরের সাথে হতে পারে দীর্ঘ মেয়াদে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
টাঙ্গাইল ও মানিকগঞ্জ জেলার ৫-৬ টি উপজেলার সাথে যোগাযোগের সেতুটি রক্ষায়, সেতুটি সঠিক ভাবে মেরামত পূর্বক আশেপাশের এলাকার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের জোড়ালো দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী। এছাড়াও নদীপাড়ের বসতি, ফসলী জমি সহ বিভিন্ন স্থাপনাও এতে আজ ভাঙ্গান হুমকিতে।
সুদীর্ঘ সময় যাবৎ কেদারপুর, মামুদনগর, মোকনা, পাকুটিয়া এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত জহিরুলের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য জহিরুলের বিরুদ্ধে সরকারি জায়গা থেকে বালু উত্তোলনের জন্য বেশ কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে। সরকারি জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িত জহিরুল প্রশাসনের তালিকায় মোষ্ট ওয়ান্টেড হিসেবে চিহ্নিত।
এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) সিফাত-ই জাহান মুঠোফোনে বলেন, বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। ইতিপূর্বে এসব জায়গায় আমরা অভিযান পরিচালনা করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তবে, কেদারপুর সেতু এলাকার বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।