ঢাকা (দুপুর ২:৩০) সোমবার, ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

নাগরপুরে বিয়ের দাবিতে অসহায় পরিবারের আর্তনাদ

শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল শাকিল হোসেন শওকত,নাগরপুর,টাঙ্গাইল Clock শুক্রবার বেলা ১২:২২, ১২ মার্চ, ২০২১

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় প্রেমিকার সাথে ৬ মাস যৌন সম্পর্ক করে ৫ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎ ও উল্টো ভুক্তভোগীর নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে প্রেমিক।

এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুয়াজানী গ্রামে ভাড়াটিয়া (ভুক্তভোগী) অসহায় মেয়ের পরিবারের দাবি করে এমনটাই বলে। ভুক্তভোগী পরিবার বলে, একই গ্রামের ট্রাক্টর মালিক সমিতির সহ-সভাপতি বারেক মিয়ার সাথে ভুক্তভোগী রুপসীর (ছদ্দ নাম) সুদীর্ঘ ছয় মাসের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। গত ৬ মাসে লম্পট বারেক বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভনে বহুবার শারিরিক সম্পর্ক স্থাপন করার এক পর্যায়ে রুপসী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। সুকৌশলে বারেক রুপসীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ৩ মাসের বাচ্চা গর্ভপাত করতে বাধ্য করে। এছাড়াও সে রুপসীর নতুন সংসারের পরিকল্পনার কথা বলে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালংঙ্কার হাতিয়ে নেয়। এতেও সে ক্ষান্ত হয় না, চালাতে থাকে বিয়ে না করেই যৌন সম্পর্ক।

এরই একপর্যায়ে গত ১০ই মার্চ বুধবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার সময় দুয়াজানী গ্রামের রুপসীর বোনের বাড়ি পুনরায় যৌন সম্পর্ক করতে গিয়ে, এলাকাবাসীর কাছে হাতে-নাতে ধরা পড়ে। একপর্যায়ে নিজ প্রভাব খাটিয়ে ভুক্তভোগীদের হুমকি দিয়ে চলে আসে। অসহায় পরিবার আরও বলে, বারেক অনেক ক্ষমতাবান লোক, সে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং আমাদের এলাকা ছাড়ার হুমকি দিচ্ছে। এখন আমরা তিনটি নাবালক শিশু ও ভুক্তভোগী নিয়ে আমরা প্রাণশংকায় আছি। আমাদের আশ্রয় নেওয়ার মত কোন জায়গা নেই। আমরা মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

এব্যাপারে ট্রাক্টর মালিক সমিতির সহ-সভাপতি বারেক বলেন, কয়েক সপ্তাহ পূর্বে কে বা কারা আমার মুঠোফোনে ৪৯ টাকা রিচার্জ করে দেয়। পরে এক মহিলা আমাকে ফোন দিয়ে বলে আমি ভুলক্রমে আপনার মোবাইলে টাকা পাঠিয়েছি, অনুগ্রহপূর্বক টাকাটা ফেরত দিলে কৃতজ্ঞ থাকতাম। পরে আমি টাকাটা ফেরত দেই। পরদিন থেকে মহিলাটি আমাকে মাঝে মাঝে ফোন দিতে থাকে। পরিচয়ের একপর্যায়ে গতকাল বুধবার মহিলাটি আমাকে দরজার কাজের জন্য আমাকে তার বাসায় যেতে বলে। মহিলার প্রদত্ত ঠিকানা অনুযায়ী ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি বাড়িটি তার বোনের। তখন জানতে চায় দরজার কাজ কোথায় হবে, মহিলাটি আমাকে বলে আপনি বসুন চা খেতে খেতে কথা বলি। এর মধ্যেই কাপড় দিয়ে মুখবাঁধা তিনজন যুবক ঘরের মধ্যে ঢুকে আমাকে প্রশ্ন করে, খালি বাসায় কি করেন, আমার উত্তরের অপেক্ষা না করে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে এবং লুঙ্গি পড়িয়ে ভিডিও ধারণ করে। এরপর উক্ত বাড়িওলার বোনকে ফোন দিলে তারা সহ এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে। পরে আমি নাগরপুর থানায় বিষয়টি অবগত করি।

এব্যাপারে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি। কিন্তু বারেক থানায় একটি মারধরের অভিযোগ করেছে। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT