ঢাকা (সন্ধ্যা ৬:৫৬) বৃহস্পতিবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম
Meghna News অবশেষে নির্ধারিত হলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভাগ্য Meghna News কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা, গ্রাহকদের জিম্মি করে ১৫ লাখ দাবি Meghna News হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়, স্বীকারোক্তি পলকের Meghna News মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশকে বিব্রত করছে আ.লীগ Meghna News বিজয়ের ধারা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির বিজয় মিছিল Meghna News বিএমএসএফের বর্ষসেরা সাংবাদিক সম্মাননা পাচ্ছেন গৌরীপুরের ১০ সাংবাদিক Meghna News গৌরীপুরে ইউএনও’র বিদায় সংবর্ধনা Meghna News গৌরীপুরে শ্রমিকদল সভাপতি স্বপদে বহাল হওয়ায় আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ Meghna News লোহাগড়ায় নূর মোহাম্মদ শিক্ষা কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তি প্রদান Meghna News চাঁপাইনবাবগঞ্জে কিশোর অপরাধী চক্রের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ২, আহত ২

Join Bangladesh Navy


নাগরপুরে অবৈধ ভাবে চলছে এসিড ক্রয়-বিক্রয়ের রমরমা ব্যবসা

মো:শাকিল হোসেন শওকত,টাঙ্গাইল মো:শাকিল হোসেন শওকত,টাঙ্গাইল Clock বুধবার রাত ০৮:৫০, ২৫ আগস্ট, ২০২১

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় অনিয়ন্ত্রিত ভাবে চলছে অবৈধভাবে এসিড ক্রয়-বিক্রয়ের রমরমা ব্যবসা।

সরেজমিনে, সদর বাজারের বিভিন্ন স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলায় সরকার অনুমোদিত বিস্ফোরকের লাইসেন্স (এসিড ক্রয়) এর লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ১ টি। যারা কাজের জন্য বৈধভাবে এসিড ক্রয় ও ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু একটি অসাধু মহল কর্তৃপক্ষের নজরদারী এড়িয়ে হাজার হাজার লিটার দাহ্য এসিড ক্রয়-বিক্রয় এর সাথে জড়িত রয়েছে অনেকেই।

গত ২২ আগষ্ট রবিবার, বিকেলে উপজেলার নাগরপুর বাজারে বেআইনী ভাবে এইসব এসিড ক্রয়-বিক্রয়ের সময় জড়িতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পূণীমা জুয়েলার্সের এসিড ব্যবহারের লাইসেন্স থাকলেও সকলেই কোন না কোন ভাবে ক্রয় করে এ বিস্ফোরক পদার্থ।

টাঙ্গাইল জেলার কেমিক্যাল ব্যবসায়ী পাথরাইলের মা বাসন্তী জুয়েলার্সে এর জুরান রায়ের ছেলে চৈতন্য রায়, গত রবিবার নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে সালফার এসিড বিক্রিয়া এক পর্যায়ে উপজেলার মামুদনগরের হিরা লাল কর্মকারের ছেলে মনোরঞ্জন কর্মকার ও একই দোকানের আলিম এর কাছে ৫০ লিটারের ২টি গ্যালন সালফার বিক্রি করেন। পরে তারা এ ক্রয়-বিক্রয়ে বিষয়টি সম্পূর্ণ বৈধ দাবি করে। এসিড কেনা-বেচার লাইসেন্স এর কথা জিজ্ঞেস করলে, নানা রকম তালবাহান করে বলেন, এই এসিড পূর্নীমা জুয়েলার্সের স্বপন কুমার মন্ডলের কাছে বিক্রি করা। তবে ঐ মূহুর্তে এসিড গুলো মনোরঞ্জন কর্মকারের দোকানে দেখা যায়। কথার একপর্যায়ে চৈতন্য রায় বলেন, ভাই আমার এসিড বিক্রির বৈধ লাইসেন্স আছে। তবে মনোরঞ্জন লাইসেন্সের আবেদন করেছে শুনেছি। ওদের কাছে বিক্রি করা আমার অন্যায় হয়েছে। ওরা ছাড়াও সকল ব্যাটারী ব্যবসায়ীও এসব এসিড আমার কাছ থেকে ক্রয় করে থাকে। এভাবে ব্যবসা না করলে তো আমি বিক্রি করার মত তেমন কোন লোক পাবো না।

এ ব্যাপারে পূর্ণিমা জুয়েলার্সের প্রোপাইটার স্বপন কুমার মন্ডল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমাকে তো ৫০ লিটার সালফার এসিড দিয়ে সে টাকা নিয়ে চলে গিয়েছে চৈতন্য দা। আমার কেনা এসিড আমার কাছেই আছে। ওনার বাকি এসিডের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমাকে তো আর কোন এসিড আজ দেয়ার কথা না,এগুলোর ব্যবহার করা শেষ হলে পরে প্রয়োজনমতো আমি কিনে নিব। তিনি আরো বলেন, বৈধভাবে এসিড ক্রয় ও ব্যবহারের লাইসেন্স রয়েছে আমাদের টাংগাইল জেলায় আমার সহ সর্বমোট ২ টি। আমি সরকারি নিয়ম মেনে সুনামের সাথে বৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। অসৎ এসব ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে কে বা কারা জড়িত এ বিষয়ে আমার বলার কিছুই নেই।

রবিবার বিকেলের সালফিউরিক এসিড কেনার বিষয়টি মনোরঞ্জন কর্মকার অস্বীকার করে বলেন, এসিড গুলো আমার দোকানে রেখেছে, এগুলো নিয়ে যাবে। আমার এগুলো কেনার লাইসেন্স নেই। তবে, লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি।

এ বিষয়ে অপর এক এসিড ক্রেতা আলিম বলেন, আমি ভাই মনোরঞ্জন দা এর দোকানের কর্মচারী। আমি এসব এর কিছুই জানিনা।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, সালফিউরিক এসিড অতি দাহ্য পদার্থ। আমাদের উপজেলার স্বর্ণকারে এটি ব্যবহার করে। তবে আমার জানামতে, উপজেলায় ২ টি দোকানে ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু এসব দাহ্য পদার্থও ক্রয় বিক্রয়ের লাইসেন্স এর বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তেমন কোনো তথ্য নেই।

এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত-ই জাহান বলেন, অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। বেআইনি ভাবে এসিড ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এলাকার সচেতন মহল বলেন, অবৈধভাবে এসিড ক্রয়-বিক্রয় না হলে, ব্যাটারী ব্যবসায়ী, স্বর্ণকার সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা কোথা থেকে কিভাবে এসব মারাত্মক বিপদজনক দাহ্য এসিড পায়। কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে যে কোন সময় ঢাকার জুস কারখানার মত বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে নাগরপুরেও।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT