দুর্যোগ ঝুঁকিতে অরক্ষিত রাঙ্গাবালীর হাজারও মানুষ
মেঘনা নিউজ ডেস্ক শনিবার সকাল ১১:২৯, ১৩ মে, ২০২৩
একদিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। অন্যদিকে শঙ্কা বাড়ছে উপকূলীয় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর মানুষের। সাগর ও নদী ঘেরা এই দ্বীপের কোথাও বাঁধ ভাঙা, কোথাও ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুর্বল বাঁধ। আবার কোথাও নেই বাঁধ কিংবা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রও। তাই দুর্যোগ ঝুঁকিতে অরক্ষিত ৬টি এলাকার হাজারও মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে বেড়িবাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রবিহীন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরনজির, চরহেয়ার ও চরকাশেমের মানুষ। অন্যদিকে উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের গরুভাঙা, মধ্য চালিতাবুনিয়া ও চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডার গ্রামে প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ সিডর পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ে কয়েক দফায় বিধ্বস্ত হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
উপজেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চরআন্ডার বাসিন্দা মোঃ তুহিন হাওলাদার বলেন,চরআন্ডা ছোট্র একটা দ্বীপ স্বাভাবিক জোয়ারে চরআন্ডা তলাইয়া যায়,পশ্চিম পাশ ও পূর্ব পাশে বেড়িবাধঁ নাই। ঝড় হইলে আমরা কোথায় যাব এমন কোনো অবস্থানাই একটা সাইক্লোন সেল্টার নামেই সেল্টার ১০০ থেকে ১৫০ জন মানুষ থাকতে পারে কিন্তু মানুষ আছে প্রায় পাঁচ ছয় হাজারের মত।
স্থানীয় মুরব্বি মো: জয়নাল মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় খবর হুনছি। এই মহা বিপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া ছাড়া আমাদের কিছু করার নাই।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ বলেন, উপজেলার ৭৫০ মিটার বাধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ আর ঝুকিপূর্ণ আছে ২০০০ মিটার। যারমধ্যে ১৪৫০ মিটার বাঁধের নির্মাণকাজ চলছে। কোন জায়গার বাধ উন্মুক্ত থাকবে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন,সকল সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসময় তিনি আরও বলেন, যেহেতু ৬টি এলাকা খুবই ঝূকিপূর্ণ সেহেতু এদের ব্যাপারে আমাদের বিশেষ নজর আছে। এখন তো আশ্রয় কেন্দ্রে তৈরি করতে পারবো না।