দাউদকান্দিতে মুজিব শতো বর্ষে ৯২টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে নতুন ঘর
এইচএম দিদার,দাউদকান্দি,কুমিল্লা রবিবার রাত ১১:২৩, ১ আগস্ট, ২০২১
“মুজিব মানে আশার আলো,মুজিব মানে আশার বাতিঘর”। কোটি কোটি বাঙালির প্রাণে আজও মুজিব অম্লান ও অক্ষয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দাউদকান্দিতে অসহায় দুস্থ ও গৃহহীন ৯২টি পরিবার পাচ্ছেন জায়গাসহ নতুন ঘর।
উপজেলার ১ নং সদর উত্তর ইউনিয়ের গোলাপের চর গুচ্ছগ্রামে গিয়ে দেখা যায়,এখানে বিখ্যাত নদী গোমতীর কোল ঘেষে মায়াবি কোলাহল মুক্ত নির্জন ও মনোরম পরিবেশে সারিবদ্ধভাবে গড়ে ওঠেছে ২৫টি ঘর,বাড়ির সামনে রয়েছে সুন্দর প্রশস্ত আঙিনাসহ আধুনিক বিভিন্ন সুবিধা।কাজের গুণগত মানে ব্যবহার হয়েছে উন্নত মানের রড,ইট,টিন, বালু ও কাঁঠসহ তৈরীকৃত অন্যান্য সরঞ্জাম।
মুজিবর্ষ উপলক্ষে দেশে গৃহহারা পরিবারদের ঘর দেওয়া হবে বলে কথা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কথা রাখছেন, ইতিমধ্যে দেশের অসংখ্য গৃহহীন পরিবার নতুন ঘর পেয়ে খুশিতে ভাসছে। দাউদকান্দিতে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দুর্নীতিমুক্তভাবে জিরোটলারেন্স নীতিতে কাজ করছেন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান নতুন ঘরগুলোর গুণগত মান সম্পর্কে জানান,” প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ভিকতলায় ৯টি,লক্ষীপুরে ৫টি,আমিরাদে ২২টি,কলাকোপায় ২টি ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মুগ্ধকর নয়ানাভিরাম লোকেশন গোলাপের চরে “মুজিব গুচ্ছগ্রাম ” নামে ৫২টি ঘরসহ সর্বমোট ৯২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গুচ্ছগ্রামে উপকারভোগী পরিবারগুলোতে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে নির্মাণ করা হবে নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়,স্বাস্থ্য সেবার জন্য করা হবে কম্যুনিটি ক্লিনিক।
তিনি আরও বলেন, ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ, ইতিমধ্যে ২০টি ঘর আমরা দালিলিকভাবে গৃহহীনদের উপহার দিয়েছি,বাকী ঘর গুলোর কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে ,যথাসময়ে এসব ঘরগুলো গৃহহীনদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সম্প্রতি খাদ্য সচিব নাজমুন আরা খানম স্যার,মান্যবর চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ কামরুল হাসান এনডিসি স্যার,কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান স্যার ও আমি নিজেসহ আমরা সবগুলো ঘরের নির্মাণ কাজের গুণগত মান পরিদর্শনে গিয়েছি। আমরা কোথাও কোনো ত্রুটি বিচ্যুতি দেখতে পাই নি।তবে আমিরাবাদে ১ টি ও ভিকতলায় ১টি ঘরের বারান্দায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ঘর দু‘টির সংস্কার কাজ চলছে।“