ঠাকুরগাঁও গড়েয়া হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ
সেলিম রেজা,ঠাকুরগাঁও রবিবার রাত ১১:১৪, ১৮ জুলাই, ২০২১
প্রবাদ বাক্য- ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কলা খাইনি, ঠাকুরগাঁওয় সদর উপজেলার গড়েয়া হাটে প্রতিনিয়ত চলছে টোল আদায় বাণিজ্য। প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন বাণিজ্য চলছে বলে জনসাধারণ অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও করোনার নিয়মনীতি উপেক্ষা করে চলছে হাটে কেনা বেচা কার্যক্রম।
আজ রবিবার (১৮ জুলাই) গড়েয়া হাটে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাট পরিচালক রহিদুল শাহ, গরু ও ছাগল ক্রয় বিক্রয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।গরু প্রতি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং ছাগল প্রতি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা হারে লেখাইদার কতৃর্ক টোল আদায়ের অভিযোগ অনেক ভুক্তভোগীরা করেছে।
জানা যায়, সরকারী নীতিমালা অমান্য করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে হাটে অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করছেন।
উল্লেখ্য যে,বর্তমান করোনা মহামারীতে সরকারী বিধি নিষেধ যে,জনসমাগম তথা পশুর হাটে নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই।
পশুর হাট বসিয়ে জনসমাগম করছে ফলে করোনা সংক্রমনের ঝুকিঁ আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ার শংকা রয়েছে। এদিকে ঈদের পর তথা ২৩ জুলাই থেকে সরকার ৫ ই আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়েছে। তবে এই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে হাট বসিয়ে একদিকে জনসমাগম করছে অন্যদিকে অতিরিক্ত টোল আদায় করছে ফলে জনসাধারণ ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গরু প্রতি ৪০০থেকে ৪৫০ টাকা টোল আদায় এবং ছাগল প্রতি ১২০থেকে ১৬০ টাকা আদায় করা হচ্ছে যা টোল আদায়ের রিসিভে উল্লেখ করা হচ্ছে মর্মে এবং কিছু কিছু রিসিভে উল্লেখ করা হয় না অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে হাট পরিচালক রহিদুল শাহ’র সাথে কথা বললে তিনি জানান যে বছরে একটা ঈদ, তাছাড়া অন্য অন্য হাটে বেশি নিচ্ছে তাই আমরাও নিচ্ছি,চেয়ারম্যান এই বিষয়ে অবগত আছে এবং চেয়ারম্যান আমার ভাতিজা হবে, আপনি রাতে দেখা করেন আমি আপনাকে খুশি করবো।
এই বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা।পরে তিনি বলে যা দিচ্ছি নিয়ে যান,চা খেয়ে নিবেন, টাকা দেওয়ার চেস্টা করেন আর বলেন শেষ হাট।
এই বিষয়ে হাট ইজারাদার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন যে আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা।
এছাড়া অতিরিক্ত টোল আদায় করার জন্য ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়েছে।