গৌরীপুরে শহীদ মিনারটি পরিণত হয়েছে স্ল্যাব তৈরীর কারখানা ও ডাস্টবিনে
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ শুক্রবার সন্ধ্যা ০৭:৩৫, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটী ইউনিয়নের পাছার বাজারের শহিদ মিনারের উপরে সরকারি মার্কেটের ভবন নির্মাণের জন্য নিয়মিত চলছে সুরকি-পাথর আর সিমেন্ট মিশ্রণের ঢালাই কাজ। আরেক পাশে রয়েছে বাজারের ময়লা ফেলার ডাস্টবিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শহিদদের সম্মান ভুলণ্ঠিত করছে এহেন কর্ম। এছাড়া উল্লেখিত ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় এ শহিদ মিনারটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি ৬বছরেও।
এ শহিদ মিনারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচী পালিত হয়। মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শুধু তাই নয়, মহান বিজয় দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবসেও স্কুল-কলেজ, বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ছুটে আসে এখানে। সেই শ্রদ্ধার স্থানটি সারা বছর যেমন অরক্ষিত-তেমন অপরিচ্ছন্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পাছার বাজারের আজিজুল ইসলাম জানান, শনিবার ও মঙ্গলবার হাটের দিনে পুরো বাজারের আবর্জনাও ফেলা হয় এখানে। নির্মাণ প্রসঙ্গে সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল আহাম্মেদ জানান, তিনি ব্যক্তিগত অর্থে শহিদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি সমাপ্ত করে আসতে পারেননি। তবে এবার নির্বাচিত হলে দৃষ্টিনন্দন শহিদ মিনার তৈরি করা হবে।
তবে সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরে ২০১৬ সালের দিকে শহিদ মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। সরকারের কোন ফান্ড থেকে নির্মাণ কাজটি করা হয়েছিলো এই মুর্হূতে তিনি তা বলতে পারছেন না। দ্রুত কাজটি সমাপ্ত করা হবে। স্ল্যাব নির্মাণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারের জন্য সরকারিভাবে ভবন নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মোঃ সোহেল রানা স্ল্যাব তৈরি করেছে। এসময় তিনি আরো বলেন, শহিদ মিনারের পাশে ময়লার যে স্তপ রয়েছে তা দ্রুত অপসারণ করা হবে।
স্ল্যাব নির্মাণ প্রসঙ্গে ঠিকাদার মোঃ সোহেল রানা জানান, বিষয়টি দুঃখজনক ও দৃষ্টিকটু। আমার জানা ছিলো না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ জানান, যদি এ ধরনের কিছু থাকে দ্রুত অপসারণসহ শহিদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেয়া হবে। অসমাপ্ত কাজটিও সম্পন্ন করা হবে।