গৌরীপুরে ন্যাশনাল সার্ভিস সদস্যরা মুনাফা ছাড়াই পেল ব্যাংকের গচ্ছিত অর্থ
ওবায়দুর রহমান,গৌরীপুর,ময়মনসিংহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৭:০৫, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
সরকারের উচ্চ-অগ্রাধিকার প্রাপ্ত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় অধিদপ্তর পরিচালিত শিক্ষিত বেকার যুবক/যুবমহিলা ২ বছর মেয়াদী অস্থায়ী কর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচী ন্যাশনাল সার্ভিসের ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সদস্যরা কর্মমেয়াদ শেষে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করলেও মাসিক কর্তনকৃত সঞ্চিত অর্থের মুনাফা ছাড়া ঘরে ফিরছে বলে অভিযোগ করেছে সদস্যরা।
কর্মমেয়াদ শেষ ১ম ব্যাচের সদস্য সালমা আক্তার আইডি নং- ৫২৫, ২য় ব্যাচের সদস্য ঝুমা রানী দাস আইডি নং-১৪০১, তামান্না আক্তার আইডি নং-১৬৭৭, আফরোজা আক্তার আইডি নং-১৮২৯ জানায়, কর্মরত অবস্থায় একজন সদস্য তার পারিশ্রমিক হিসাবে দৈনিক ২শ টাকা করে মাসে ৬ হাজার টাকা পায়। কর্মভাতা থেকে মাসে ২ হাজার টাকা সঞ্চয় হিসাবে নিজ নামে ব্যাংক হিসাব নাম্বারে গচ্ছিত রাখা হয় এবং অস্থায়ী সংযুক্তির মেয়াদ শেষে মুনাফাসহ সমুদয় টাকা ফেরত দেয়া হবে। কিন্তুু আমরা আমাদের সঞ্চিত অর্থই শুধু ফেরত পেয়েছি তার মুনাফা পাইনি।
সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ব্যাচে পুরুষ-৪৯৪ জন, মহিলা-৪৪৯ জন ২য় ব্যাচে পুরুষ-৪৩৫ জন, মহিলা-৪৭০ জন, ৩য় ব্যাচে পুরুষ-৫০৯ জন, মহিলা-৪৫৫ জন ও ৪র্থ ব্যাচে পুরুষ-৯৯ জন, মহিলা-২২২ জন। লভাংশ না পাওয়ার বিষয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নন্দন কুমার দেবনাথ বলেন এখানে আমাদের কোন হাত নেই বিষয়টি ব্যাংকের। এ বিষয়ে ব্যাংক বলতে পারবে।
এ ব্যাপারে মোবাইল ব্যাংকিং ডাচ বাংলার ময়মনসিংহ শাখার এএসএম মোঃ রোকন উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সদস্যরা সুদ পাচ্ছে। যারা অভিযোগ করেছে তাদের ব্যাংক স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করেন। সরকারী টাকা বলেই ন্যাশনাল সার্ভিসের সদস্যদের গুরুত্ব দিচ্ছেনা।
ন্যাশনাল সার্ভিসের সদস্যদের দাবী কর্তনকৃত সঞ্চিত অর্থ ডিপিএস করার কথা ছিল। এ বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা আরো বলেন, আমরা এটি সেভিংস একাউন্ট (সেলারী একাউন্ট) খুলেছি। যুব উন্নয়ন থেকে ডিপিএস এর এমন কোন কাগজ পাইনি তাই একাউন্টটিকে আমরা ব্লক করে রাখি। তিনি আরো বলেন ব্যাংকের এক টাকাও মাইর যাওয়ার কোন সুযোগ নেই,তারা সুদ পাচ্ছে।