ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নন্দন কুমার দেবনাথ তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ মানছেন না। দফায় দফায় তথ্য অধিকার আইনের ‘ক’ ফরম পূরণ করে আবেদন করলেও তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী শাহজাহান কবির। এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে।
সূত্র জানায়, গত ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর তারিখে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচী (৬ষ্ট পর্ব) এর ৪ ব্যাচের সকল সার্ভিস কর্মীদের জাতীয় পরিচয় পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও সকলের নামের তালিকাসহ ফঠোকপি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন স্থানীয় সংবাদকর্মী শাজাহান কবীর। ২০২১ সালের ২১শে জানুয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ বরাবর আপীল করেও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তথ্য অধিকার আইনের ফরম ‘ক’ আবেদনের প্রায় ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ায় ও আপীল আবেদনেও তথ্য না পেয়ে ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান তথ্য কমিশনার, তথ্য কমিশন, এফ-৪/এ আগারগাঁও প্রশাসনিক এলাকা, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ বরাবরে মেইল এবং রেজিষ্ট্রি করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী জানান, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে লাগামহীন অনিয়ম-দূর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নন্দন কুমার দেবনাথ। এর আগেও ‘ক’ ফরম পূরণ করে তথ্য পাওয়া যায় নি। মূলত সংশ্লিষ্টদের লাগামহীন দূর্নীতি ঢেকে রাখতেই আবেদন রিসিভ করে তথ্য প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি করা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করায় সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা আমার সাথে দুর্বব্যহার করে মামলার হুমকি প্রদর্শন করে।
এ অভিযোগের বিষয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নন্দন কুমার দেবনাথের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন অফিসে আসেন। ফোনে সাক্ষাতকার দেয়া যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ বলেন, তথ্য ফরমে আবেদন দেখেছিলাম, তথ্য না পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।