নড়াইল পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুমান আরার নির্বাচনী প্রচারণাকালে হামলার ঘটনায় ৬০জনের নামে মামলা হয়েছে। আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুমান আরার মেয়ে সঞ্চিতা আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। এদিকে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আওয়ামী লীগের দু’টি নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

মামলার বাদী সঞ্চিতা আহম্মেদ বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নড়াইল শহরের গোচর-দুগাপুর এলাকায় নৌকা প্রতীকের মিটিং ছিলো। মিটিং এ যাবার সময় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রাথী সরদার আলমগীর হোসেনের লোকজন মুখোমুখি হয়ে নৌকা প্রতীকের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এসময় আমাদের পক্ষের অন্তত ৪জন আহত হন।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আঞ্জুমান আরা বলেন, ‘সন্ধ্যায় হামলার ঘটনার পর গভীর রাতে পৌর এলাকার আদালতপুর ও ডুমুরতলায় আমার নির্বাচনী অফিসে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দু’টি অফিসের চেয়ার-টেবিল, ব্যানার ও পোস্টার পুড়ে গেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’

এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নড়াইল পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) সরদার আলমগীর হোসেন দাবি করে বলেন, ‘ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার একজন কর্মী হালিমকে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা মারধর করে আহত করে। পরে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় আমাকেসহ আমার নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেছে।’

নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াস হোসেন জানান, মঙ্গলবারের ঘটনায় আওয়ামীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুমান আরার মেয়ে সঞ্চিতা আহম্মেদ বাদী হয়ে ৬০জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে। এ ঘটনায় ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পৌর এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশী তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

আগামি ৩০ জানুয়ারী তৃতীয়ধাপে নড়াইল পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মেয়র পদে আওয়ামীলীগের আঞ্জুমান আরা, বিএনপির জুলফিকার আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী নড়াইল পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (সদ্য বহিষ্কৃত) সরদার আলমগীর হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রার্থী মাওলানা খায়রুজ্জামান প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।