ঢাকা (সন্ধ্যা ৭:৩৮) সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


আদমদীঘিতে করোনা ঝুঁকি নিয়েও ২২ কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা

মোঃ কামরুজ্জামান মোঃ কামরুজ্জামান Clock বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ০৭:০২, ১১ জুন, ২০২০

মিরু হাসান বাপ্পী, আদমদীঘি প্রতিনিধি (বগুড়া): বগুড়ার আদমদীঘিতে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মীরা। অন্যান্য সময়ের থেকে ক্লিনিকে রোগীও বেড়েছে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখছে অনেকে।

আদমদীঘি উপজেলায় সর্বমোট ২২টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এসব ক্লিনিকগুলো বেশিরভাগই প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত। প্রতি ক্লিনিকে সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই ও সেনিটাইজার দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ মতে সপ্তাহে ৬ দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন।

এ ছাড়া একজন স্বাস্থ্য সহকারী ও মাঠ পর্যায়ে কাজের জন্য নিযুক্ত ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার অ্যাসিসটেন্ট সপ্তাহে ৩ দিন করে ক্লিনিকগুলোতে সেবা দিচ্ছেন। তবে করোনা পরিস্থিতি শুরুর দিকে রোগী কিছুটা কমলেও মে-জুন মাসে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলার সান্দিড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার কামরুল হাসান বলেন, প্রায়ই কিছু রোগী আসেন যাদের সমস্যার সঙ্গে করোনা সংক্রমণের উপর্সগের অনেকটা মিল থাকে। যার ফলে করোনা আক্রান্ত রোগী হলেও তা নির্ধারণ করা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়। ক্লিনিকে আগত রোগীদের নিকট থেকে তাদের শারিরীক সমস্যার তথ্য জেনে সিএমইডি এজেন্ট অ্যাপস ব্যাবহার করে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে কিনা তা নির্ধারণ করি। তাদেরকে সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রদান করে থাকি। সুরক্ষা সামগ্রী ব্যাবহারের মাধ্যমে যতটা সম্ভব নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সেবার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আগের থেকে রোগীও বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলার উথরাইল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মনি আক্তার বলেন, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা শিশু ও গর্ভবতীসহ নানা ধরনের রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সাধারণ মৌসুমি জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা, পেট ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, বমি ও পাতলা পায়খানা এ ধরণের সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসেন আমাদের কাছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করি তাদের সেবা দেওয়ার।

কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা হোসেন আলী, রাকিব , কাজল, রবিনসহ বেশ কয়েকজন বলেন, করোনার কারণে হাসপাতালে যেতে পারি না। ঠাণ্ডা-গরমের জন্য জ্বর মাথা ব্যাথা নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে আসছি। এখানে ডাক্তার দেখালাম। পেশার মাপল, ওজন মাপল। পরে ঔষধ দিল, চলে আসলাম। শুধু আমরাই নয় গ্রামের অনেকেই এখানে চিকিৎসা নেয়।

আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, উপজেলার ২২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিকে করোনা সংক্রমণের সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের এই সংকটময় মুহূর্তে উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নিরবিচ্ছিন্নভাবে তৃনমূল মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে। সিএইচসিপিদের অগ্রণীয় সাহসী ভূমিকার জন্য যা সম্ভব হচ্ছে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT