আদমদীঘিতে কনকনে শীতে কাঁপছে মানুষ
মোঃআতিকুর হাসান,আদমদিঘী,বগুড়া বুধবার সন্ধ্যা ০৬:৩৪, ২৭ জানুয়ারী, ২০২১
উত্তরাঞ্চলের বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা ছোট্ট একটি শহর। প্রায় ২ সপ্তাহ থেকেই আদমদীঘি উপজেলায় তীব্র শীত অব্যাহত রয়েছে।
গত মঙ্গলবার কনকনে ঠান্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতায় জনগন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। কৃষকরা প্রবল ঠান্ডায় মাঠে নামতে পারছে না। বেলা ১২ টা পর্যন্ত সূর্যের আলো দেখা যায়নি, অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা বিরাজ করছে। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত ঝড়ছে কুয়াশা। ফলে হেড লাইড জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করেছে। উপজেলায় কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর, মাথা ব্যাথা, হাঁপানি ও সর্দি-কাশির প্রকোপ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন শীত জনিত শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বহুলাংশে বেড়েছে। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে প্রায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকছে । ফলে মানুষরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম বিপাকে পড়েছেন।
ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় সরিষা গাছের ফুল ঝড়ে পড়তে শুরু করেছে এবং বোরো বীজতলায় বীজধানের গাছগুলো লাল হতে শুরু করেছে। শীতে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা এতে কষ্ট পাচ্ছেন বেশি। শহরের গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে এখন মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এ সুযোগে গাউন মার্কেট ও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ব্যবসায়ীরা কাপড়ের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়েছেন। ফলে অর্থাভাবে দরিদ্র মানুষদের পক্ষে শীতের কাপড় সংগ্রহ করা খুব কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোশক বানানোরও হিড়িক পড়েছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার দুপুর পযর্ন্ত সুর্যের আলো দেখা গেলেও শীতের তীব্রতা কমেনি। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, তাপমাত্রা দিনের বেলাতেই ১২ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। সেই সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় মানুষ চরম বিপাকে পড়েেছ। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা।
সান্তাহার রেল ষ্টেশন ও বিভিন্ন ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দাতা সংস্থা যেসব ছিন্নমূল অসহায় মানুষদের মাঝে শীতের যে কম্বল চাদর দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সীমিত। তাই শীত নিবারণের জন্য অনেক গরীব অসহায় মানুষদের রাতে শীত নিবারণের জন্য আগুন জ্বালিয়ে তাদের শরীর গরম করার চেষ্টা করছে।