সাহিত্য (প্রবন্ধ) : কবি তোফায়েল আহমেদ
আরিফুল ইসলাম বুধবার রাত ০২:২২, ১৪ আগস্ট, ২০১৯
———-সাহিত্য আলোর বাতিঘর। সমাজ গঠনের হাতিয়ার। জীবনের সারাংশ। সত্যের নির্যাস। প্রেম ভালোবাসার শেখর।স্বভাব সাহিত্য মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ অলংকার। সাহিত্যের অপর নাম সুন্দর ও সামাজিক জীবন ব্যবস্থা। ইহা মনের রসায়নকে জাগিয়ে রস বের করে জীবনকে স্বার্থকতা উপহার দেয়। সাহিত্যের প্রদীপ মানব মানসে প্রতিফলিত হলে মানুষ হওয়া যায়।এই সাহিত্যের ফসল চাষীদের যত্ন নিলে ফলনে সফলতা আসে। সাহিত্য একটি সাগরের নাম। ভাষার উন্নয়নে সাহিত্য চাষীরা কল্পনার স্রোতে মানস নৌকা ভাসিয়ে মুক্তা তুলে আনে। সাহিত্যের সাথে মিতালী করিলে আপন প্রস্ফুটিত হয় স্নিগ্ধ সুভাসে। সাহিত্য আত্মাকে পরমাত্মায় সমর্পন করে বিনীত স্বর জাগ্রত করে স্বকীয় মহিমায়। সাহিত্য ভাষার দরজা। ভাষাকে সাজিয়ে গুছিয়ে সুন্দরের অববাহিকায় উপস্থাপন করে পুস্তকের বাড়িতে বসবাস করে আলো বিকশিত করে শ্রেষ্টকূলের শিক্ষালয়ে।
——-সাহিত্যের হৃদয়ে থাকে জীবন গঠনের সকল উপাদান। বর্ণমালার গাঁথুনিতে শব্দের স্বর্ণ খন্ডগুলো বাক্যের রুপে ফুলের মালার মত সাহিত্য নব পথ চয়ন করে প্রতিভার রবি ছড়িয়ে পাথরে ফুল ফুটায়। সাহিত্য মনের খোরাক। ইহা জ্ঞান, বোধকে- ধারালো করে প্রত্যাশিত লক্ষে পৌছে দেয়। সাহিত্য প্রেম ভালোবাসায় ও শিষ্টাচারে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে মনের বাসর রচনা করে। সাহিত্য কল্পনার কাঁধে চড়ে প্রকৃতির রুপ রস গন্ধ মনের আরশিতে রোপন করে লেখনীতে পুস্তকে উদ্ভাসিত হয় সু চরিত্রের সামাজিক আদতে। সাহিত্য জীবনকে তার মর্ম বুঝিয়ে দেয়। জীবনের সর্বস্তরে সাহিত্যের সুনাম অব্যয় থাকে। সাহিত্য স্রষ্টাকে চিনতে সৃষ্টিকে বুঝতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে। সাহিত্যের কদর, সমাদর সর্বজনীন ব্যাপী। সাহিত্য দুঃখকে তাড়িয়ে সুখের সন্ধান দেয় জীবনকে সংশোধন করে পবিত্রতা শিখায়। সাহিত্যে প্রকৃতির সব কিছু মানুষের চোখে পঠনে তুলে ধরে বোধ সম্প্রসারিত করে থাকে।সাহিত্য মানুষের শিক্ষক। চরিত্র গঠনে তার বিকল্প নেই।
———-বাংলা সাহিত্যের বিকাশে সব সরকারের সু -দৃষ্টি
বাংলা একাডেমির মাধ্যমেই আরো বাড়াতে হবে।অাধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সময়ের সেরা উর্বর মানসের
কবিরা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় লিখছে এবং লিখবে। এই লেখার প্রকাশ -বিকাশে প্রতিভার মূল্যায়ন করিলে বাংলা ভাষার সমৃদ্ধতা বাড়বে। পরিবর্তনের হাওয়া বদলে দেওয়া জীনব থেকে নব উদ্দীপনায় মসৃন কত ভাষার উদয় হয়, ও হবে,যার অবমূল্যায়নে শুকনো পাতার মত সাহিত্যের সু সন্তানগুলো অচিরেই ঝরে যায়।
——-কবিরা নিশি রাত নির্ঘুমে থেকে -থেকে সাহিত্যের ডাল পালা বৃদ্ধি করিয়া নব নব কলির প্রকাশ ঘটিয়ে ফুল ফুটাবার তরে আপ্রাণ চেষ্টা করে কল্পনা ঘষে। সে ফুলের সুভাসে মানবতার পরিধি প্রসারিত হয়,সমাজ সংষ্কার হয়, মানুষ তার মনুষ্যত্ব চিনে, জীবন যাপনের ক্ষেত্রে প্রতিটা বিষয়ে লেখকরা তার মূল্যবান চিত্ত সত্যায়িত পবিত্র দিক নির্দেশনা দেয় কলমের আঁচরে,শিক্ষা পায় তার মসৃন গতি,সমাজ হয় আলোকিত,নিজেকে চিনে প্রদীপের আলোতে, অপরকে চিনায় নিজের ভালোলাগার মতন,মমতাবোধ ভ্রাতৃত্ববোধ, রক্তের আপন,জীবনের করনীয়তা ন্যায়ের আলোকে প্রস্ফুটিত হয় একমাত্র সাহিত্যের জাগরণে।
———-সত্যায়িত সততার বিকাশ, মিথ্যের কবর,জীবন বোধ জাগ্রত মানসিকতায় প্রতিফলিত হয় সাহিত্যের বিকাশে। সাহিত্য একটি রবির নাম। প্রবন্ধ, গল্প,
উপন্যাস, রম্য কাহিনী, নাটক,অনু গল্প,অনুকবিতা
কবিতা,ইত্যাদির মাধ্যমে কবিরা তার লেখনীতে দেখিয়ে দেয় সুগম পথের সন্ধান।লেখকরা পবিত্র মানসের হয়ে থাকে। স্রষ্টার দান কবির মস্তিষ্ক প্রবাহিত হয়ে লেখনীর মাধ্যমে প্রকাশ ও বিকাশে তার ফসল ফলায়। কবিরা হলো সাহিত্য চাষী।তারা ভিন্ন স্বভাবের হয়ে থাকে। তারা সব মানুষের কথা বলে আপন মানসে। কবিরা কোন বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর থাকেনা। তারা নির্বিশেষে চাষ করে যায় সকল মানুষের নাগরিক অধিকারের কথন,স্বাধীনতার স্বাদের বর্ণনা ,পাহাড়ের ঝর্ণার মত তারা ঝরে লেখনীর মাধ্যমে পরোপকারে।
————সাহিত্যিকরা সদাই সহজ সরল নর্ম ও ভদ্র
স্বভাবের হয়ে থাকে। তারা সদালাপী। তাদের চলনে বলনে সাহিত্যের আরচণ বিরাজিত থাকে। তারা সদাই জ্ঞান পিপাসুক। নিজেকে তারা সবসময় ছোট মনে করে ও ভাবে। তাদের মনটাই বিনীত আদতে নির্মিত ।কোমলতা তাদের কবি ভূষণ। তারা কথা কম বলে, শোনে ও লেখে বেশী। যে কোন বিষয়কে তারা তাদের চিত্ত ঘষে পরিশোধিত করে চেতনার আলোকে লেখনীতে প্রকাশ করে।
———–কবিরা সচেতন নাগরিক। তারা ভাষার পন্ডিত। ব্যাকরণ ব্যঞ্জনায় তারা সঠিক ভাষার রূপকে মনের আঙ্গিনায় রেখে স্বকীয়ে পরখ করে রুপসী সাজিয়ে পান্ডুলিপিতে সংরক্ষণ করে থাকে। তবে এ দেশের কবিরা বেশিরভাগই দারিদ্র্য জীবন যাপন করে। দারিদ্র্যতার কষাঘাতে তারা ক্লান্ত ও মানসিক ভাবে ঘর্মাক্ত থাকে। কবিরা আবেগ প্রবন হয়। কষ্ট না পেলে কেহ কবি হতে পারেনা। কষ্টের রঙ-কে তারা বুকের নিভৃতের শেখরে রোপন করে তার ফসল ফলায় সাহিত্যের জমিনে। তারা কল্পনা প্রবন থাকে।
————-যুগে যুগে কত কবি সাহিত্যিকের জীবন পর্যালোচনা করলে তাহাই পাওয়া যায়। কবিরা অর্থাভাবে থাকে। দারিদ্র্যতা হলো কবিদের প্রাঞ্জল বন্ধু। এই বন্ধুর সাথে তারা মিতালী করে।প্রকৃতির দৃশ্য থেকে তারা শব্দ কুড়িয়ে এনে জমা করে ধারালো চেতনায়।সংগ্রহিত শব্দগুলোতে আরো রুপ রস স্নিগ্ধতা অনুপমী নরম কোমল গন্ধের প্রলেপ দিয়ে ধবল কাগজের বুকে শিল্প অংকন করে।
————কবি মানে সাহিত্যের ছবি। ভাষার জাদুকর, প্রদীপের আলো। অন্ধকারে তারা বাতিঘরের ঠিকানার কথন লেখনীতে জানিয়ে দেয়।পরিবার,সমাজ,দেশ,
পৃথিবীর সব মানুষ ও সৃষ্টিকূল নিয়ে কবিরা লেখে। অজানাকে মানুষে জানিয়ে দেয় কলমের কালিতে। মনের ধারণকৃত শব্দ ও সংগ্রহিত শব্দ, বাক্য, ও বিষয়ের সারাংশ কখনো ভাব সম্প্রসারণে বোধদ্বয়কে বোধে বুঝিয়ে দেয় সাহিত্যের স্বাদকে ও সাহিত্য কাহাকে বলে। ও তার প্রকরণ।
———সব কবি, কবি নয়। স্বভাব কবিরাই কবি। তাদের থাকে প্রাকৃতিক মন মানসিকতা। তাদের চিত্ততাে সর্বদা শব্দের আন্দোলন চলে বেরিয়ে আসার জন্য। তাদের জল্পনা কল্পনায় ছন্দ, শব্দ, বাক্যের মিলন ব্যঞ্জিত হয়। নিরবে বুকের উপর কান পাতিলে তাদের গুঞ্জন শোনা যায়।