ঢাকা (সন্ধ্যা ৬:৩৪) মঙ্গলবার, ৫ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাদারীপুরে বিভিন্ন হাটবাজারে জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর বেচাকেনা

মীর ইমরান,মাদারীপুর মীর ইমরান,মাদারীপুর Clock শুক্রবার বিকেল ০৪:৩৬, ৮ জুলাই, ২০২২

মাদারীপুরের পাঁচটি উপজেলায় জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর হাট। তবে করোনাভাইরাস আর বন্যায় দাম ও ক্রেতা সমাগম কম হওয়ায় বেচাকেনাও কম। আর এই অবস্থায় যেন মাথায় হাত পড়েছে বিক্রেতাদের।

আর মাত্র ১ দিন পরেই ঈদুল আজহা। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে শিবচর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে শিবচর উপজেলায় ১১টি পশুর হাট বসেছে। হাটগুলো হচ্ছে উৎরাইল হাট, চান্দেরচর, শেখপুর, কুতুবপুর, ক্রোকচর হাট, দক্ষিণ ক্রোকচর হাট, নিলখী বন্দর হাট, কাদিরপুর দেলোয়ার বেপারীর হাট, সূর্যনগর হাট ও বহেরাতলা হাট। এছাড়াও শিবচর পৌরসভায় দাদা ভাই উপশহরে একটি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। এসব হাটে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাশন নিয়মিত তদারকি করছেন।

শুক্রবার শিবচর উপজেলার পৌরসভা উপশহরে বালুর মাঠে গরুর হাট ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা তাদের লালন-পালন করা গরু-মহিষ ও ছাগল হাটে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন। তবে ক্রেতাদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, বিদেশি গরুর থেকে দেশি গরুর কদর বেশি। এছাড়াও এ হাটে বিদেশি গরু তেমন একটা চোখে পড়েনি।

এসব হাটগুলো ঘুরে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার করোনা আর অনাকাঙ্ক্ষিত বন্যায় তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই আবার বলেন, বর্তমানে বিক্রেতারা গরুর দাম একটু বেশি চাচ্ছে। এছাড়া আগেই গরু কিনে রাখা এবং লালন পালন করা অনেকেই ঝামেলা মনে করছেন। ফলে ঈদের ১-২ দিন আগে গরু কিনতে আগ্রহী অনেকেই। তবে বেশিরভাগ ক্রেতাই গরুর দাম গত বছরের তুলনায় এবার কম বলে মন্তব্য করেন।

পাচ্চর এলাকা থেকে গরু বিক্রি করতে আসা মোঃ হালান বলেন, দুইটি গরু বিক্রি করতে আনছি। সকাল থেকে এখন ১২টা বাজে। কাস্টমাররা যে দাম কয় তাতে তো মাথায় হাত পড়ে যায়। বাজারে দাম কম থাকায় এখনো গরু বিক্রি করতে পারিনি। দেখি বিকেল পর্যন্ত বিক্রি করতে পারি কিনা।

উপজেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট মাদবরেরচর হাটে গরুর ক্রেতা জাহিদ হোসেন বলেন, যেহেতু সময় আছে সেহেতু এখনই তারা কোরবানির জন্য গরু ক্রয় করছেন না। হাতে আরো সময় আছে। তাই ভাবছি কোরবানির পূর্বে গরু কিনবো। তিনি আরও বলেন কমের মধ্যই একটি গরু কিনবো।

দক্ষিণ ক্রোকচর হাটে গরু কিনতে আসা জলিল সরদার বলেন, গরু কিনতে আসছি। পুরা হাটটি ঘুরে দেখলাম। গেল বছরগুলোর তুলনায় প্রতিটি গরুই ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা কম মনে হচ্ছে।

অন্যদিকে হাঠাৎ বন্যা আর করোনার কারণে ঈদের আনন্দ নেই শিবচরের চরাঞ্চলে। শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নের সকল বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে সেখানকার লোকজন তাদের পালিত গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে অনেকেই আশ্রয় কেন্দ্রে বা ব্রিজে গরু ছাগল নিয়ে বাস করছেন। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে কম দামেই বিভিন্ন বাজারে গরু-ছাগল বিক্রি করে দিচ্ছেন। বন্যার কারণে সব জায়গায় পানি ওঠায় কোথায় বসে তারা গরু ছাগল জবাই করবেন তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।

শিবচর পৌরসভা পশু হাটের ইজারাদার ও হাটের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মো. তোফাজ্জেল হোসেন তোতা খান বলেন, আমাদের হাটে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিচালিত হচ্ছে। করোনা ও বন্যার কারণে পশুর দাম গত বছরের চেয়ে তুলনায় কিছুটা কম।




শেয়ার করুন

GloboTroop Icon
পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT