ভোলায় ৯টি মোটরসাইকেলসহ চোরচক্রের ৭ সদস্য আটক
কামরুজ্জামান শাহীন,ভোলা রবিবার দুপুর ০১:১৮, ৩১ জুলাই, ২০২২
ভোলায় ৯টি মোটরসাইকেলসহ সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৭ জন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোটরসাইকেলে ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার খোদাই করার যন্ত্র ও জাল কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ফরহাদ সরদার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চোরচক্রটির সাথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) একটি দালালচক্র জড়িত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোলার সদর উপজেলার ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা, এসআই মো. রাজীব হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্সদের একটি দল মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারে অভিযানে বের হয়। এ সময় তারা মোটরসাইকেল চোরচক্রের খবর পায়।
এরপর অভিযানে গিয়ে চোরচক্রের প্রধান মো. জিয়া (২৬) কে আটক করেন। তার কাছ থেকে চোরাই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন নাম্বার ও চেসিস নাম্বার পরিবর্তন করা ও জাল কাগজপত্র জব্দ করা হয়। আটককৃত জিয়া ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আঃ রহিমের ছেলে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মোটরসাইকেল চোরচক্রের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পান বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার বলেন, এসব তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের আরও ৬ সদস্যকে আটক করা হয়। এবং তাদের কাছ থেকে ৯টি চোরাই মোটরসাইকেল, মোটরসাইকেল টেম্পারিং করে ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার বসানোর যন্ত্রসহ জাল কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আটককৃত অপর ৬ জন হলেন-ভোলা সদর উপজেলার আলীনগরের মো. সোহাগ (২৩), মো. রাসেল (৪৩), ভেদুরিয়ার মো. জাকির পন্ডিত (৩৯), মো. সালাউদ্দিন (২৮), মো. রাকিব (২৭) ও পশ্চিম ইলিশার মো. আলী আজগর (২৫)।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এনায়েত হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। চোরচক্রটি মোটরসাইকেল চুরি করে লোহার ডাইসের সাহায্যে ইঞ্জিন নাম্বার, চেসিস নাম্বার বসিয়ে বিআরটিএর দালালের মাধ্যমে জাল কাগজপত্র তৈরি করে বিক্রি করত। পুরোনো মোটরসাইকেল চুরির পাশাপাশি ভারত থেকে চোরাই পথে মোটরসাইকেল এনে নাম্বার বসিয়ে, কাগজ তৈরি করেও বিক্রি করতো এই চক্রটি।