বিদ্যালয়ের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অবস্থান ধর্মঘট
সাজাদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম শনিবার রাত ০৮:১৮, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়ে বিদ্যালয়ের যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা দূর না হওয়ায় প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অবস্থান ধর্মঘট করেছে। বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারী) বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে ভুক্তভোগী নাটির খামার বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী এ অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেন।
এ সময় উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, খারিজা কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য মাহফুজার রহমান, কিসামত মালতিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধিরেন্দ্রনাথসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেয়া ৫ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেরাজ মিয়া জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা নাই, খেলার মাঠ নাই। মানুষের জায়গা-জমি দিয়ে চলাচল করতে দেয় না। বিদ্যালয়ে আসার সময় অন্যের জায়গা-জমি দিয়ে আসলে আমাদের স্যার-আপা ও বাবা-মাকে তুলে খারাপ খারাপ গালি দেয়।
১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাদিয়া জান্নাতের বাবা রিয়াজুল হক বলেন, বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা নাই তাই আমার বাচ্চাকে বিদ্যালয়ে পাঠাই না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম রব্বানী বলেন, উপজেলা নিবার্হী অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন ন্যায় বিচার পাচ্ছি না। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে মহাবিপদে পড়েছি। বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার দিন দিন কমে যাচ্ছে। যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে।
উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোন কাজ না হওয়ার কারণে আমরা আজ এখানে অবস্থান করেছি। যাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তার প্রতিবন্ধকতা দূর হয় ও বিদ্যালয়ে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করে পড়া-লেখার সুযোগ করে দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি।
সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র রায় বলেন, ইউনিও স্যারের নির্দেশে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সমস্যাটি প্রশাসনিকভাবে সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার শোভন রাংসা বলেন, অফিসের কাজে বাহিরে এসেছি। তবে আমি শুনেছি সেখানে শিক্ষা অফিসারকে পাঠিয়েছি।