বাল্কহেড-ট্রলারে করে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি শুক্রবার সন্ধ্যা ০৭:৪৮, ৪ নভেম্বর, ২০২২
ধর্মঘটে লঞ্চ-বাস বন্ধ থাকায় বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে নৌপথে ছুটছেন নেতাকর্মীরা। শত শত ট্রলারে চড়ে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী বরিশাল পৌঁছেছেন। ভোলা-বরিশাল নৌ রুটের ভেদুরিয়া-লাহারহাট ফেরি বন্ধ রয়েছে। ভেদুরিয়া ঘাটে ভোলার নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে হেঁটে এসেছেন।
সেখান থেকে বাল্কহেডে করে দেড় ঘণ্টায় বরিশালের লাহারহাট ঘাটে পৌঁছবেন তারা। পরে সেখান থেকে হেঁটে সমাবেশস্থলে যাবেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির নেতারা জানান, সমাবেশে যোগ দিতে প্রথমে ট্রলার নিয়ে বরগুনা সদরসহ আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী উপজেলার নেতাকর্মীরা পায়রা নদীতে মিলিত হন। সেখান থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বরিশালের পথে রওনা হন তারা। রাতের খাবারের জন্য প্রতি ট্রলারেই খিচুড়ি রান্নার আয়োজন করা হয়।
বরগুনার পায়রা নদী থেকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদী হয়ে যাত্রা শুরুর ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল ১০টায় নেতাকর্মীরা বরিশাল পৌঁছেছেন। পিরোজপুরের নাজিরপুর এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে বরিশালের উদ্দেশে শুক্রবার দুপুরে দিকে রওনা দিয়েছেন। রাতের মধ্যেই তারা সমাবেশস্থলে পৌঁছবেন। একইভাবে বাকেরগঞ্জের নেতাকর্মীরা ট্রলারে করে আসছেন।
বরগুনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুজ্জামান টিটু বলেন, ধর্মঘট শুরুর আগেই সড়কপথে মোটরসাইকেল ও ইজি বাইক নিয়ে জেলা বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ইতিমধ্যে বরিশালে পৌঁছেছেন। যারা বাকি ছিলেন তারা ট্রলারে করে বরিশাল পৌঁছেছেন। তার ভাষ্য, ৫০টি ট্রলারে আট হাজারের বেশি নেতাকর্মী ছিলেন। গোটা পথ তারা আনন্দ-উচ্ছ্বাসের সঙ্গেই পাড়ি দিয়েছেন।
পিরোজপুরের নাজিরপুর, নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি), ভাণ্ডারিয়া এবং মঠবাড়িয়া উপজেলার পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে দুই শতাধিক ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ছেড়ে এসেছে। ট্রলারগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নিয়েছেন। ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে আরো পাঁচ হাজারের বেশি নেতাকর্মী রাতেই মধ্যেই যোগদান করবেন। শুক্রবার রাতের মধ্যেই ট্টলারগুলো চাঁদমারি এলাকায় পৌঁছবে।
বরিশাল জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান বলেন, বাকেরগঞ্জের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে নিয়ে ১৫০টি ট্রলার ছেড়ে গেছে। রাতের মধ্যেই বরিশালে পৌঁছবে ট্রলারগুলো। যেহেতু সড়কপথে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং হেঁটে গেলে আতঙ্ক রয়েছে তাই ট্রলারের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ট্রলারে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে।
ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর বলেন, সমাবেশের জন্য নির্ধারিত মাঠে ভোলার পাঁচ হাজার নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। এর বাইরেও লাহারহাট-ভেদুরিয়া ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে বাল্কহেড ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভেদুরিয়া প্রান্তে ৩০টিরও বেশি বাল্কহেড রয়েছে। ওই বাল্কহেডগুলোতে নেতাকর্মীরা বরিশালে আসবেন।