বন্যার পানিতে ডুবেছে জমি, রোপা আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় চাষীরা
আবু ইউসুফ, নওগাঁ শনিবার রাত ০২:২২, ২৫ জুলাই, ২০২০
নওগাঁর রাণীনগরে লাগাতার বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে উজার থেকে নেমে আসা বন্যায় নওগাঁর ছোট যমুনা ও পূর্ব দক্ষিনে নাগর নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া উপজেলার নিম্ন অঞ্চলে পানি প্রবেশ এবং রক্তদহ ও রতন ডারি খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রোপা ও আমন মৌসুমের চাষযোগ্য জমি পানিতে ডুবে থাকার কারণে ধান চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু বীজতলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, সংকটকালীন প্রয়োজনে বীজতলা তৈরি করার জন্য মাঠ পর্যায়ে চাষিদের উঁচু জায়গায় নতুন করে বীজতলা তৈরির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জানা যায়, চলতি রোপ-আমন মৌসুমে রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৮হাজার হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টি আর রাণীনগর-আত্রাই সড়কের কয়েক জায়গায় ফাটল এবং নান্দাইবাড়ি কালভার্ট দিয়ে ছোট যমুনা ও পূর্ব দক্ষিনে নাগর নদীর পানি তীব্র গতিতে চাষ যোগ্য জমিতে প্রবেশ করায় দিন দিন পানি বৃদ্ধির কারণে রোপা-আমন ধান চাষ অব্যাহত হওয়ায় আশংকায় রয়েছে চাষিরা। গত বছর এই সময়ে মাঠে প্রায় অর্ধেক জমিতে ধান লাগানো শেষ হলেও এবারে বন্যার কারণে এ পর্যন্ত প্রান্তিক পর্যায়ে চাষিরা প্রায় ৩শ’হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধান লাগাতে পেরেছে।
চাষিরা বলছেন সরকার পর্যায় থেকে ওইসব কালভার্ট মেরামত এবং রক্তদহ বিলের পানি নিস্কাশনের ব্যাবস্থা না করা হলে উপজেলায় প্রায় ৭হাজার হেক্টর জমি অনাবাদি থাকার আশংকা রয়েছে। উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের আব্দুল হামিদ,গোনা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের আজিজার রহমান জানান, আমাদের বীজতলার চারা লাগানোর উপযোগী হলেও প্রতিদিন বৃষ্টিপাতে মাঠের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার রোপা-আমন লাগাতে সাহস পাচ্ছিনা। তাড়াতাড়ি পানি নেমে না গেলে মাঠজুড়ে রোপা-আমন ধান লাগানো নিয়ে শংকায় আছি আমরা। রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে প্রান্তিক চাষীরা ধান লাগানো শুরু করেছে। কিন্তু লাগাতার বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে চাষীরা ধান লাগানোর প্রস্তুতি নিতে পারছে না। তবে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। রোপা-আমন ধান লাগানোর সময় এখনো আছে বলে তিনি জানান।