ঢাকা (রাত ১:৩৫) সোমবার, ২০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

নাগরপুরে টাকার জন্য জিম্মি করে বেধে রেখে মারপিটের অভিযোগ মহিলা ইউপি সদস্যার বিরুদ্ধে!

নাগরপুরে টাকার জন্য জিম্মি করে বেধে রেখে মারপিটের অভিযোগ মহিলা ইউপি সদস্যার বিরুদ্ধে!
নির্যাতনের শিকার হওয়া জামিল (বায়ে), অভিযুক্ত মহিলা ইউপি সদস্যা শিরিন বেগম (ডানে)

নিজস্ব প্রতিনিধি নিজস্ব প্রতিনিধি Clock শুক্রবার রাত ১১:৪৫, ১ মে, ২০২০

মো. শাকিল হোসেন শওকত, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়ন পরিষদের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য শিরিন বেগম ও তার ভাসুর মিলে টাকার জন্য জামিলকে জিম্মি করে বেধে রেখে মারপিট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে আজ ১মে শুক্রবার বিকেলে শিরিন বেগমের বাড়িতে গিয়ে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

জামিল সহবতপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চৌধুরী ডাঙ্গা গ্রামের নুরু মিয়া এর মেয়ের জামাই। এ বিষয়ে জিম্মি হওয়া মির্জাপুরের মো. কেতাব আলীর ছেলে জামিল (৩০) এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তাকে সকাল ৭টা এর সময় ফোন করে শিরিন বেগমদের বাড়িতে আসতে বলে।

বাড়িতে আসার পর, গত ২ সপ্তাহ আগে বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রদত্ত টাকা ফেরত চায় শিরিন ও তার ভাসুর। উত্তরে আমি বলি, টাকা তো আমি সাথে করে নিয়ে আসিনি। তবে আপনারা যদি বিদেশ যেতে না চান, টাকা তো ফেরত দিতে হবে। কিন্তু আমাকে তো টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সময় দিতে হবে। তারা আমার কোন কথা না শুনেই আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে মারপিট করে সাথে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়।

সকাল থেকে আমায় আটকে রেখেছে ওনারা সারাদিন আমি খেতেও পারিনি। আপনাদের আসার খবর পেয়ে আমার বাঁধন খুলে দেয়। হুমকি দিয়ে বলে সাংবাদিকদের সাথে কথা সাবধানে বলতে।

এই ঘটনার বিষয়ে শিরিন বেগম বলেন, ওনার কাছে আমার স্বামীর জন্য আমি ২৭ হাজার ও আমার ভাসুর সাইদুল তার ছেলে মনির এর জন্য ৩৫ হাজার টাকা বিদেশ যাওয়ার জন্য দেই। আজ প্রায় দের মাস হলো কিন্তু বিদেশ পাঠাবে বলে শুধু তারিখ ঘোরাচ্ছে। এতে আমার ভাসুর তাকে ফোনে ডেকে এনে টাকা আদায়ের জন্য আকট করে রেখেছে। মারপিট করেছে কি না আমি জানি না।

আমি অনুমানিক সকাল ১১ টা এর সময় এ ঘটনা দেখি। আইনের আশ্রয় নেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, আমরা তার কাছে টাকা পাই, টাকা দিয়ে দিলেই ঝামেলা শেষ হয়ে যাবে।

সংবাদটি লেখার আগে রাত ৮.৩০ মিনিটের সময় পর্যন্ত জামিলকে এই করোনা মহামারি মধ্যে আটক করে রাখা হয়েছে বলে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেন শিরিন বেগম।

এ বিষয়ে গয়হাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান আশকর এর সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT