ঠাকুরগাঁওয়ে সরিষা খেত থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে মধু
সেলিম রেজা, ঠাকুরগাঁও শনিবার রাত ০৩:৪৬, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষা খেত। হলুদের চাদরে ঢেকে গেছে সবুজ মাঠ। এই সুযোগে মধু চাষি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মধু সংগ্রহে। উপজেলার নারায়ণপুর, সাটিয়া, একান্নপুর, জাবরহাট ও খটশিংগাসহ বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সরিষাখেতের পাশে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছেন মৌয়ালেরা। বাক্স থেকে হাজার হাজার মৌমাছি উড়ে গিয়ে মধু সংগ্রহে ঘুরে বেড়াচ্ছে সরিষা ফুলের মাঠে। ফুল থেকে মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। আর এই চাক থেকেই মধু সংগ্রহ করেন মৌমাছি চাষিরা। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মৌচাষিরা এসব মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। এতে লাভবান হচ্ছেন তারা।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা থেকে আসা মৌচাষি মো. এরশাদ আলী সাংবাদিকদের জানান, আমরা সরিষাখেত থেকে বছরে চার মাস মধু সংগ্রহ করে থাকি। অন্য আট মাস কৃত্রিম পদ্ধতিতে চিনি খাইয়ে মৌমাছিদের পুষে রাখা হয়। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সরিষা থেকে মধু সংগ্রহের উপযুক্ত সময়।
আরেক মধু চাষি জানান, আকার ভেদে একটি বাক্স থেকে ২০ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত মধু পাওয়া যায়। প্রতিটি মৌবাক্স তৈরিতে খরচ হয় আট থেকে ১০ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজি মধু বিক্রি করা হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে। সরিষা ছাড়াও লিচু, মিষ্টি কুমড়া, কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করা যায় বলে জানান তিনি।
উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার উপজেলায় মোট ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. রহমান বলেন, সরিষাখেতের পাশে মৌবাক্স বসালে সরিষার ফলন ১০ ভাগ বেড়ে যায়। এতে ফলনও বাড়ে।