ঢাকা (সন্ধ্যা ৭:১৯) সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
শিরোনাম

Join Bangladesh Navy


ট্রাফিক পুলিশের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ : চলছে ভূয়া অকশন

সিলেট জেলা ২১০৭ বার পঠিত

আবুল কাশেম রুমন আবুল কাশেম রুমন Clock মঙ্গলবার দুপুর ০১:৪৮, ১১ জুন, ২০২৪

সিলেট নগরীতে আবারও চলতে শুরু করেছে অকশন ও জিডি নাম্বার লিখা সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অবাধে নাম্বারবিহীন সিএনজি।

কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ বিভিন্ন জেলার জিডি নাম্বার ও অকশনের কাগজ ক্রয় করে সিলেটে এক শ্রেণী গাড়ি বিক্রির দালাল চক্র শত-শত অটোরিক্সা সিএনজি বিক্রি করছে সাধারণ মানুষের নিকট। অনেকেই এসব গাড়ি ক্রয়করে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। গত কয়েক মাসে সিলেট নগরীতে অকশন ও জিডি নাম্বার লিখা সাইনবোর্ডধারী সিএনসি সয়লাব হয়ে পড়েছে।

সিলেট নগরীতে এসব সিএনজি অবাধে চলার নেপত্যে ৩ কারিগর হচ্ছেন ট্রাফিকের ৩ (টিআই) পুলিশ কর্মকর্তা। এদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলছেন ভূক্তভোগীরা,এরা হচ্ছেন সাবেক কর্মস্থল দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন চত্বর বর্তমান সিটি এলাকা বন্দরবাজার এলাকায় কর্মরত টিআই মতিউর রহমান, আম্বরখানা এলাকায় কর্মরত টিআই আজাদ ও দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন চত্বরে কর্মরত টিআই দিলওয়ারের বিরুদ্ধে।

ভূক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা ওভার ব্রিজের নিচে ড্রাইবার রবের মাধ্যমে সিলেট নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মাসিক এক হাজার ও ১২শ টাকার টোকন ও মামলার মাধ্যমে ওই তিন কর্মকর্তার মাধ্যমে ওই সব অবৈধ গাড়ি চালাতেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি কিছু দিন পূর্বে বৈচিত্র্যময় সিলেটে সংবাদ প্রকাশের পর নাম্বারবিহীন গাড়ি গুলোর বিরুদ্ধে ট্রাফিক অফিস থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পর কিছু দিন বন্ধ হলে গত ১ মাস ধরে আবারও চালু হয়েছে টোকন বাণিজ্য। ঘুরে ফিরে ওই তিন কর্মকর্তার নাম বার-বার উঠে আসছে অটো রিক্সা ব্যবসায়ীদের মুখে।

সরেজমিনে দেখা যায়, এসব সিএনজি মূলত কুমিল্লা, চট্টগ্রাম বা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে পুরাতন বাঙাড়ি বিক্রেতাদের কাছ থেকে ৩০/৪০ হাজার টাকা ক্রয় করে সিলেটে এনে বডি ও ইঞ্জিন মেরামত করে ভূয়া অকশন ও জিডি নাম্বার লিখে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা বিক্রি করছে একটি চক্র। বিভিন্ন গাড়িতে লেখা জিডি ও অকশনের নাম্বারের সূত্রে ধরে দেখা যায়, এসব নাম্বার গুলো কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় করা জিডি। অনেক গাড়িতে দেখা যায় আদালত হতে নিলামকৃত গাড়ি বলে লিখে একটি অকশন নাম্বার ব্যবহার কারছেন। মূলত গুলো সিলেটের কোন থানায় জিডি বা অকশন হয়নি। অসাধু একটি চক্র ট্রাফিক পুলিশের মাসিক টোকন বা মামলায় মাসিক একহাজার ও ১২শ টাকার বখার মাধ্যমে ওই গাড়ি নগরীতে চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় বলে জানা যায়। আর সব গাড়ি চালানোর পেছনে রয়েছে বিভিন্ন সিএনজি স্ট্যান্ডের ম্যানেজার, টোকন বিক্রেতার লাইনম্যান, সিলেট জেলা ও মহানগর সিএনজি পরিচালনা কমিটির নেতাকর্মীরা। এরা ট্রাফিক অফিসের বড়কর্তাদের সহযোগীতায় বেশ কয়েক জন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ও টিআইকে কে মাসিক বখরার মাধ্যমে সিএনজি চলতে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপরে আম্বরখানা পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিকের টিআই আজাদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি উক্ত বিষয়ের সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেন। বন্দর পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা টিআই মতিউর রহমানের সাথে কথা বললে আমাদের প্রতিবেদকে তার বক্তব্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানান এবং কথা বলা অবস্থায় মোবাইল ফোন কেটে দেন।

পরে একাধিক বার ফোন দেওয়ার পর আর কোন ফোন রিসিভ করেননি। অপর দিকে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন চত্বরের দায়িত্বে থাকা দিলওয়ার এর সাথে একাধিক বাবার তিনির মোবাইল ফোনে কল দিলে কোন ফোন রিসিভ করেন নি।

এদিকে নাম্বার বিহীন গাড়ি শহরের সয়লাবের ফলে গোঠা সিলেট নগরীতে তিব্র যানজট লেগে থাকে বিভিন্ন সিগন্যাল পয়েন্টে।




শেয়ার করুন


পাঠকের মতামত

মেঘনা নিউজ-এ যোগ দিন

Meghna Roktoseba




এক ক্লিকে জেনে নিন বিভাগীয় খবর



© মেঘনা নিউজ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by ShafTech-IT