চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারে অন্য জেলার আম, ঠকছেন ভোক্তারা
এস এম সাখাওয়াত জামিল দোলন বৃহস্পতিবার রাত ১০:৫২, ১৫ জুন, ২০২৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে জমে উঠেছে আমের বাজার। এখানে প্রতিদিন সাড়ে ৪ শত থেকে ৫ শত ট্রাক বিভিন্ন জাতের আম বিক্রি হয়ে থাকে। এ এলাকার আমের দেশব্যাপী সুনাম থাকায় বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যাপারীরা এখান থেকে আম সংগ্রহ করেন। আবার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন মোকামে আম পাঠিয়ে থাকেন।
তবে নতুন করে ঠাকুরগাঁও জেলার আম কানসাট বাজারে বিক্রি হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এখানকার আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের বাজারে মিশে বিক্রি হচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেলার আম। আর এসব আম কিনে ঠকছেন ভোক্তারা। ফলে রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের সুনাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের আভিরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও থেকে আম এনে কানসাট বাজারে বিক্রি করছেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে কানসাট আম বাজারে দেখা যায়, দুটি ভ্যানভর্তি ঠাকুরগাওয়ের আম এনে বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন।
এ সময় আভিরুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৪ শত টাকা মণ দরে আম কিনেছেন। সে আম বেশি দামে বিক্রির আশায় কানসাট বাজারে নিয়ে এসেছেন তিনি। এর আগেও তিনি বাইরের জেলার আম কানসাটে বিক্রি করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন বাইরের জেলার চেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম অনেক সুমিষ্ট ও দামও বেশি।
আভিরুল ইসলামের মতো ঠাকুরগাঁও থেকে আম এনে কানসাট বাজারে বিক্রি করছেন, একই উপজেলার নানধড়া এলাকার জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বাজারে ঠাকুরগাঁওয়ের আমের চাহিদা তেমন নেই। ফলে বাধ্য হয়ে কানসাট বাজারে বিক্রি করছেন। তবে কেউ কেউ চিনে নিচ্ছেন তাদের আমগুলো বাইরের জেলার। আবার যারা চিনতে পারছেন না, তারা ভুল করেই কানসাটের আম ভেবে সমমূল্যে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কানসাট আমের হাটের উদ্যোক্তা রায়হান আলী বলেন, কানসাটের আমের চাহিদা থাকায় জেলার বাইরের আম এখানে এনে বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতারা ঠকছেন। ফলে সুনাম নষ্ট হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের।
কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক উমর ফারুক টিপু বলেন, বাইরের জেলার আম বিক্রি করলে অবশ্যই বলে দেয়া উচিত। সেটি মানা হচ্ছে না। যারা বাইরের জেলার আম স্থানীয় বলে বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।